আমজাদ মির্জা
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পরেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দার সিং। কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনের সময় পাকিস্তানের আচরণেও তা প্রকাশ পেয়েছিল। খলিস্তানি আন্দোলনে জড়িত পাঞ্জাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তাধারার প্রচারক জঙ্গি নেতাদের পোস্টার সম্বলিত ভিডিও শেয়ার করা হয় পাকিস্তানের সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। যাতে পরিষ্কার বোঝা গিয়েছিল যে ফের পাঞ্জাবে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে ইমরানের সরকার। সম্প্রতি এর পিছনে পাকিস্তানের গভীর ষড়যন্ত্র আছে বলে অভিযোগ করলেন পাকিস্তানের এক মানবাধিকার কর্মী আমজাদ মির্জা। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো থেকে এই মন্তব্য করে বিশ্বের সামনে ফের একবার পাকিস্তানের স্বরূপ প্রকাশ করলেন তিনি।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর সেখানে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানো খুবই শক্ত হয়ে পড়েছে। এর ফলে চাপে পড়েছে পাকিস্তানের সেনা জেনারেলরা। কারণ, ভূস্বর্গে আর অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা সফল হচ্ছে না তাদের। বাধ্য হয়ে ভারতে অশান্তি ছড়ানোর নতুন পথ খুঁজে বের করতে চাইছে তারা। আর এর জন্যই পাকিস্তানের সেনা আধিকারিকদের চাপে কর্তারপুর করিডর খোলার সিদ্ধান্ত নিতে হয় ইসলামাবাদকে।’
তাঁর প্রশ্ন, ‘এখনই কেন এই সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান? কেন এটা তারা ৭৩ বছর পর করল? আসলে এতদিন তারা কাশ্মীরের মাধ্যমে ভারতে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করত। কিন্তু, এখন সেই পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে নিজের দেশের মানুষের বিশ্বাস হারিয়েছে পাকিস্তানের শাসক ও সেনা। তাই কর্তারপুর করিডর চালুর মাধ্যমে খলিস্তানি উগ্রপন্থীদের ব্যবহার করে পাঞ্জাবের শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে তারা। ওদের যদি সত্যিই শান্তি প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা থাকত তাহলে লাদাখ ও কাশ্মীরে বন্ধ থাকা রাস্তাও খুলে দিত। কিন্তু, তা তারা করেনি।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.