সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে ঐতিহাসিক ও লজ্জাজনক পরাজয় হয়েছে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য ৩২৫-৩০৬ ব্যবধানে আস্থা ভোটে জিতলেন মে। হাউস অফ কমন্সে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। বুধবার গভীর রাতেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হয়। মঙ্গলবারই পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে গিয়েছে টেরেসা মে-র প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তি। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত চুক্তির বিপক্ষে পড়েছে ৪৩২টি ভোট। পক্ষে ২০২টি। এমনকী, তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টির শ’খানেক এমপি-ও সমর্থন করেননি প্রধানমন্ত্রী মে-র ‘কঠোর’ প্রস্তাব। কিন্তু এত কিছুর পরেও আস্থা ভোটে মে সরকারের পতন ঘটেনি। রক্ষণশীল এমপিরাই তাঁকে ১৯ ভোটে জেতান।
[পার্লামেন্টে মিলল না সমর্থন, বাতিল মে-র ব্রেক্সিট চুক্তি]
ব্রেক্সিট নিয়ে ভোটের ফলে উৎসাহিত ছিলেন জেরেমি করবিন। কিন্তু টেরেসা মে-র প্রস্তাব যে সমস্ত ব্রেক্সিটপন্থী রক্ষণশীল এমপি সমর্থন করেননি, তাঁরা কেউই চাননি করবিনের নেতৃত্বে লেবার পার্টির সরকার ক্ষমতায় আসুক। ২৯ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ব্রিটেনের। তা নিয়ে যত অচলাবস্থাই ব্রিটেনে তৈরি হোক না কেন, মে সরকার আপাতত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ব্রেক্সিটপন্থী রক্ষণশীল এমপি-রা তো বটেই, ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) এবং নর্দার্ন আইরিশ পার্টিও মে’কে বুধবার রাতে সমর্থন করেছে। আবার লেবার পার্টির নেতা করবিন যে বিকল্প ব্রেক্সিট চুক্তির কথা বলছেন, তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছেন তাঁর দলেরই ৭১ জন এমপি। তাঁদের দাবি, ব্রেক্সিট নিয়ে দ্বিতীয়বার গণভোট হোক।
তবু যদি মে সরকার পরাজিত হত তাহলে কী হত? দু’সপ্তাহের মধ্যে বিকল্প সরকার গড়ে আস্থা ভোটে জিততে হত। না হলে সাধারণ নির্বাচন ছাড়া উপায় ছিল না। আস্থা ভোটে জেতার পর মে জানিয়েছেন, এবার তিনি সব দলের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলে নতুন ব্রেক্সিট চুক্তি তৈরি করবেন। ২৯ মার্চের মধ্যে যে ব্রিটেন নিশ্চিতভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাবে সে ব্যাপারে ফের মে জোরালভাবে দাবি করেছেন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, ব্রিটেনের প্রত্যাহার প্রস্তাবের শর্ত নিয়ে নতুন করে আলোচনা হবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে যেতে ব্রিটেনের সামনে এখন উপায় কী? প্রথমত, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট। অর্থাৎ, ইইউ-এর সঙ্গে কোনও সমঝোতা না করেই বেরিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয়ত, বিরোধীদের সঙ্গে ফের আলোচনা করে নতুন একটি ব্রেক্সিট চুক্তির প্রস্তাব দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
[সিরিয়া নিয়ে চড়ছে পারদ, তুরস্ককে ‘বিধ্বংসী’ প্রত্যাঘাতের হুমকি ট্রাম্পের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.