সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজার দেশে প্রধানমন্ত্রী পদের লড়াইয়ে শুক্রবার বড় জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। ঋষি সুনাক পরবর্তী ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন কিয়ের স্টার্মার। ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার পর এবার ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে অভিনন্দন জানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে সহমত হয়েছেন দুই রাষ্ট্র প্রধান। একইসঙ্গে স্টার্মারকে ভারতে আসার আমন্ত্রণও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায় ৪১১টি আসনে জয় পেয়ে ক্ষমতায় আসছে লেবার পার্টি। নরেন্দ্র মোদির বন্ধু হিসেবে পরিচিত ঋষি সুনককে সরিয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট এখন কিয়ের স্টার্মারের দখলে। ফলাফল নিশ্চিত হওয়ার পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে শনিবার ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে ধরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ফোনালাপে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে প্রথমেই জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে ভারত ও ব্রিটেনের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে কূটনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হন দুই রাষ্ট্রনেতা।
PM Narendra Modi spoke with Keir Starmer, United Kingdom PM today. PM Modi congratulated him on assuming charge as UK PM and a remarkable victory of the Labour Party in the election. PM Modi extended invitation to PM Starmer for an early visit to India: PMO pic.twitter.com/tasXAivRYq
— ANI (@ANI) July 6, 2024
শুধু তাই নয়, এই ফোনালাপে ভারত-ব্রিটেন করমুক্ত বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে একত্রে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন দুই রাষ্ট্র প্রধান। একইসঙ্গে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদি আমন্ত্রণ জানান তাঁকে দ্রুত ভারত সফরে আসার। দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে অতীতের গৌরবের কথা তুলে ধরে দুই রাষ্ট্র নেতা একে অপরের প্রশংসা করেন। এবং ভবিষ্যতে এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হন।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনের রাজনীতিতে ১৪ বছর পর ক্ষমতায় ফিরেছে লেবার পার্টি। ব্রিটেনের ৬৫০ আসনের হাউস অফ কমন্সে ৪১২ আসনে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে তারা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি মাত্র ১১৮টি আসন পেয়েছে। তবে দল হারলেও ২৩,০৫৯টি ভোট পেয়ে উত্তর ইংল্যান্ড আসনে জয়ী হয়েছেন তিনি। অথচ ২০১৯ সালের নির্বাচনে বরিস জনসনের নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টি ৩৬৫টি আসন জিতেছিল। যেখানে লেবার পার্টি পেয়েছে ২০২টি আসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.