Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kyiv

অভেদ্য ‘রেল ফোর্স ওয়ানে’ কিয়েভ যাবেন মোদি, কী বিশেষত্ব এই সাঁজোয়া ট্রেনের?

কিয়েভে যাওয়ার জন্য ২০ ঘণ্টার ট্রেন সফর করবেন মোদি।

PM Modi to travel on luxurious Train Force One to Ukrainian capital Kyiv

ফাইল ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:August 21, 2024 7:56 pm
  • Updated:August 23, 2024 3:41 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার পর এবার ইউক্রেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাক্তন দুই সোভিয়েত দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটাই মোদির প্রথম কিয়েভ সফর। এই মুহূর্তে পোল্যান্ডে রয়েছেন নমো। সেদেশে দুদিন থাকার পর তিনি রওনা দেবেন ইউক্রেনের উদ্দেশে। ৭ ঘণ্টার জন্য থাকবেন কিয়েভে। তবে সেখানে পৌঁছনোর জন্য মোদিকে ২০ ঘণ্টার ট্রেন সফর করতে হবে। অভেদ্য ‘রেল ফোর্স ওয়ানে’ যাত্রা করবেন তিনি। কী বিশেষত্ব এই সাঁজোয়া ট্রেনের?

এই মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। নতুন করে রুশ ভূখণ্ডের কার্স্ক অঞ্চলে ঢুকে অভিযান চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। পালটা মার দিচ্ছে মস্কোও। এই পরিস্থিতিতে কামানের গর্জনের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশে যাচ্ছেন মোদি। আগামী ২৩ আগস্ট তিনি পা রাখবেন কিয়েভে। জানা গিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সফর করবে ‘রেল ফোর্স ওয়ান’নামে একটি ট্রেন। চলমান যুদ্ধের কারণে এখন ইউক্রেনের আকাশ খুবই বিপজ্জনক। যেকোনও সময় আছড়ে পড়তে পারে শত্রুপক্ষের মিসাইল। তাই আকাশপথে বন্ধ বাণিজ্যিক উড়ান পরিষেবা। তাই বিমানে চেপে কিয়েভে পৌঁছনোর উপায় নেই। এই অবস্থায় ইউক্রেনের কূটনীতিকদের পরিবহণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে রেল পথই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ‘গিরগিটি’ কমলা হ্যারিস! ছুড়ে ফেলে দেওয়ার হুমকি WWE কিংবদন্তির]

লৌহবর্মে মোড়া এই সাঁজোয়া ট্রেনটি কার্যত অভেদ্য। তাই যুদ্ধের মধ্যে মোদির সুরক্ষায় এই ট্রেনটির ব্যবস্থা করেছেন জেলেনস্কি। রেল ফোর্স ওয়ানের আরেকটি নাম ‘লৌহ কূটনীতি’। এই যানে সওয়ার হয়েই এর আগে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। শুনতে ট্রেন যাত্রা হলেও, এই ট্রেনের ভিতরে যা রয়েছে তা কোনও বিলাসবহুল বিমানের থেকে কম নয়।

Advertisement

যেহেতু জেলেনস্কি ও ইউক্রেন সফরে যাওয়া রাষ্ট্রনেতারা এই এটি ব্যবহার করেন, তাই বিশেষ ভাবে তৈরি এই ট্রেনে রয়েছে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম থেকে শুরু করে ড্রোন বিধ্বংসী ব্যবস্থা। কেবিনের ভিতরে রয়েছে অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেমও। যেখানে ধরা পড়বে শত্রু বিমানের গতিবিধি। পাশাপাশি যুদ্ধক্ষেত্রের সমস্ত খবর রাখতে রয়েছে কমান্ড সেন্টার। এছাড়া বাইরে রকেট হামলার আঘাত সইতে পারে এমন বুলেটপ্রুফ জানলাও রয়েছে।

নিরাপত্তার পাশাপাশি হাই প্রোফাইল যাত্রীদের যাত্রা সুখকর করতে রয়েছে এলাহি ব্যবস্থাও। কাঠের প্যানেল-সহ কেবিনে বিশ্রাম করতে পারবেন যাত্রীরা। বৈঠক করার জন্য রয়েছে বড় টেবিল। সোফা, টিভি ছাড়াও ঘুমানোর জন্য আরামদায়ক বিছানারও ব্যবস্থা করা রয়েছে ট্রেনের ভিতরে। উল্লেখ্য, রেল ফোর্স ওয়ান শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ইউক্রেন রেলের সিইও আলেকজান্ডার কামিশিন। তবে মোদিই প্রথম নন। তাঁর আগে আরও অনেক রাষ্ট্রনেতা এই সাঁজোয়া ট্রেনে সফর করেছেন। তালিকায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক-সহ আরও অনেকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ