Advertisement
Advertisement

Breaking News

Boris Johnson

‘শুরুতেই ওঁর অদ্ভুত শক্তি অনুভব করেছিলাম’, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বরিস জনসন

ভারতের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথাও জানিয়েছেন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

PM Modi has been written about fondly by former British PM Boris Johnson in his memoir
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:October 13, 2024 4:16 pm
  • Updated:October 13, 2024 4:16 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্মৃতিকথা ‘আনলিশড’-এ তিনি ‘চেঞ্জ মেকার’ বলে উল্লেখ করেছেন মোদিকে। লিখেছেন ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক নিয়ে একটি গোটা অধ্যায়। বইয়ে নিজের রাজনৈতিক জীবনের নানা মুহূর্ত, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কথা তুলেছেন জনসন। আর সেখানেই মোদি সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

মোদিকে ‘একেবারে যথার্থ বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছেন জনসন। এবং তাঁর সঙ্গে মোদির বৈঠকেই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ভিত্তি স্থাপিত হয় বলে জানাচ্ছেন তিনি। ‘ব্রিটেন অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ নামের ওই অধ্যায়ে জনসনের দাবি, দুই দেশের সম্পর্ক বরাবরই ভালো।

Advertisement

Climate vision discussion with friend PM Narendra Modi agenda for India visit, says Boris Johnson

মোদির সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাতের কথা লিখতে গিয়ে তিনি এক বিশেষ শক্তি অনুভব করার কথা জানিয়েছেন। টাওয়ার ব্রিজে কীভাবে প্রচুর অনুগামী, ভক্তদের সম্মুখীন হয়েছিলেন মোদি, সেকথাও জানিয়েছেন তিনি। জনসনকে লিখতে দেখা গিয়েছে, ‘আমি প্রথম থেকেই ওঁর সঙ্গ উপভোগ করেছি। আমার হাত ধরে হিন্দিতে কিছু একটা বলছিলেন মোদি। কী বলছেন না বুঝলেও ওঁর অদ্ভুত শক্তি অনুভব করতে পেরেছিলাম। আমি অনুভব করছিলাম আমাদের সম্পর্কে একজন এমনই চেঞ্জ মেকারেরই প্রয়োজন। আমি বুঝতে পেরেছিলাম মোদির সঙ্গে কেবল মুক্ত বাণিজ্যই নয় একটা দীর্ঘকালীন সম্পর্কও গড়ে তোলা যাবে। একেবারেই বন্ধুর মতো সাম্যাবস্থা।’ কেবল মোদি নয়, ভারতের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথাও নিজের বইয়ে লিখেছেন জনসন।

নিজের জীবনের বিতর্কিত মুহূর্তের কথাও লিখেছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। কোভিড আমলে দল বেঁধে পার্টি করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যা পার্টিগেট নামে পরিচিত। কিন্তু সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর চেয়েও তিনি বেশি আক্ষেপ করছেন ২০২২ সালের জুন মাসে ঋষি সুনাক যেভাবে তাঁর ক্যাবিনেটের চ্যান্সেলরের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার বিষয়ে। তাঁর মতে, ‘এটা অপরাধের চেয়েও খারাপ। আমি মনে করি এটা একটা ভুল- ঋষি ও দলের জন্যও। যা প্রমাণিত। আমি অবশ্য অসময়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চাওয়ার জন্য ঋষিকে দোষ দিই না। সত্যি বলতে কী, কাউকেই দায়ী করি না।’ তাঁর মতে টোরি এমপিরা সকলে একজোট থাকতে পারলে ২০২৪ সালেও তাঁরাই ক্ষমতায় থাকতেন। এবং তাঁর বেশির ভাগ বন্ধুরা নিজেদের আসন দখলে রাখতে পারতেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement