সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক নির্বাচনে ইমরান খানের জয়ের কারণ হিসাবে নানান ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন বিরোধীরা৷ বলা হয়েছে, পাক সেনা ও আইএসআই-এর মদতেই নির্বাচনে জয় পেয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ৷ তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিরোধীদের কার্যত বোকা বানিয়ে, প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে নির্বাচনে বাজিমাত করেছেন বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন এই পাক অধিনায়ক৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, নির্বাচনের প্রচার পর্ব থেকেই একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতেন পিটিআই-এর নেতা, সদস্য সমর্থকরা৷ যাতে একসঙ্গে স্টোর করে রাখা যেত প্রায় ৫০ মিলিয়ন ভোটারের তথ্য৷ নির্বাচনের সময় এই তথ্যকেই কাজে লাগিয়েছে ইমরানের দল৷ ফলও মিলেছে হাতেনাতে৷
[স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বিদেশের মাটিতে ভারতকে অসম্মানের ছক কষছে ISI]
পিটিআই শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে, এই অ্যাপটিতে রয়েছে Constituency Management System (CMS)৷ যা একটি মার্কিন সংস্থার তৈরি করা৷ পিটিআই এই সফটওয়্যারটি প্রথম ব্যবহার করে ২০১৫-র স্থানীয় নির্বাচনে৷ সেখানেও বাজিমাত করে ইমরানের দল৷ এরপর সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে প্রতিটি প্রার্থী ও কর্মকর্তাকে এই অ্যাপের ব্যবহার শেখানো হয়৷ তবে বেশ সতর্ক ছিলেন পিটিআই নেতৃত্ব৷ কৌশলগত কারণেই এই অ্যাপ ব্যবহারের বিষয়টি পাঁচকান করেনি তাঁরা৷ জানা গিয়েছে, অ্যাপ দ্বারা সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ফল ঘোষণার আগেই জয়ের আভাস পেয়েছিলেন ইমরান খান৷ হিসাব করে দেখা গিয়েছিল নির্বাচনে ১১৫টি আসন পেতে পারে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ৷ সেই মতো ১৫০টি সম্ভাব্য আসনে জয়ের জন্য প্রবল ভাবে প্রচার চালায় পিটিআই৷
[ঘুঁটি ভারতের সংবাদমাধ্যম, লোকসভা নির্বাচন ভেস্তে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া!]
কীভাবে ব্যবহার করা হয় CMS? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অ্যাপে কোনও ভোটারের আই কার্ড নম্বর টাইপ করলে, তাঁর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য, যেমন মোবাইল নম্বর, বাড়ির ঠিকানা, প্রদেশের নাম ইত্যাদি মোবাইল স্ক্রিনে চলে আসে৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এলাকা ধরে ধরে ভোটারদের ভাগ করা হয় এবং চালান হয় আকর্ষণীয় প্রচার৷ ইমরানের এক কাছের অনুগামী জানান, ভোটের আগে কয়েকদিনের জন্য জন্য বন্ধ হয়ে যায় এই অ্যাপের কাজ৷ সেই সময় কার্যত মাথায় বজ্রপাত হয় পিটিআই প্রধানের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.