সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগরে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে ‘ড্রাগন’। এবার বিনা প্ররোচনায় ফিলিপিন্সের পণ্যবাহী নৌকায় হামলা চালিয়েছে চিনা উপকূলরক্ষী বাহিনী বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আবারও সংঘাতের আশঙ্কা বেড়েছে অঞ্চলটিতে।
#UPDATED | The Philippines accuses Chinese Coast Guard vessels of firing water cannon at boats delivering supplies to Filipino military personnel in the disputed South China Sea, and orders Beijing to “back off”, reports AFP News Agency
— ANI (@ANI) November 18, 2021
ফিলিপিন্সের বিদেশমন্ত্রী টিওডোরো লকসিন জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে নভেম্বরের ১৬ তারিখ। সেদিন ফিলিপিন্সের ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন’ তথা বিশেষ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের মধ্যে ঢুকে পড়ে চিনা উপকূলরক্ষী বাহিনী। ফিলিপিন্সের ফৌজের জন্য রসদ নিয়ে যাওয়া দু’টি নৌকার উপর জলকামান দিয়ে হামলা চালায় তারা। এই ঘটনায় কেউ আহত না হলেও দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশমন্ত্রী লকসিন বলেন, “চিনা উপকূলরক্ষী বাহিনীর কার্যকলাপ বেআইনি। ওই এলাকার চিনের কোনও এক্তিয়ার নেই। তাদের বিষয়টি মাথায় রেখে এক্ষুনি পিছু হঠা উচিত।”
দক্ষিণ চিন সাগর (South China Sea) বরাবর অন্যান্য দেশকে চাপে রেখে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চেয়েছে বেজিং। বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। ফলে ফিলিপিন্স-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটছে বেজিং। পালটা, সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা (America)।
উল্লেখ্য, ফিলিপিন্সের জলরাশিতে হামলা চালাতে পারে চিনা ফৌজ বলে আশঙ্কা গোড়া থেকেই ছিল। গত এপ্রিল মাসে লালফৌজকে কার্যত যুদ্ধের হুমকি দিয়ে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় জানান, ফিলিপিন্সের সেনাবাহিনী, জাহাজ বা বিমানের উপর হামলা হলে চুক্তি মেনে বন্ধু দেশটির পাশে দাঁড়াবে আমেরিকা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বা দক্ষিণ চিন সাগরে ফিলিপিন্সের উপর হামলা হলে প্রতিরক্ষা চুক্তি মেনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পালটা হামলা চালাবে মার্কিন সেনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.