সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে এবার লাহোর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ। শুক্রবার দুবাই থেকে আইনজীবী মারফৎ রায় পুনর্বিবেচনার আরজি জানান তিনি।
কয়েকদিন আগেই প্রাক্তন পাক সেনাপ্রধানকে রাষ্ট্রদোহিতার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত। রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় মুশারফকে। এই রায়ের বিরুদ্ধেই এবার হাই কোর্টে আপিল জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য দুবাইয়ে রয়েছেন এককালের দাপুটে পাক সেনাপ্রধান ও কারগিল যুদ্ধের অন্যতম চক্রী। এক ভিডিও বার্তায় মুশারফ দাবি করেছেন, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বিচারের ৬৬ পরিচ্ছদ নিয়ে আপত্তি করেছেন তিনি। রায়ের ওই পরিচ্ছদ বা ‘ডিসেন্ট নোট’ লিখেছেন পেশাওয়ার হাই কোর্টের বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ। উল্লেখ্য, বিশেষ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চের শীর্ষে ছিলেন বিচারপতি শেঠ। ওই পরিচ্ছদে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগেই মৃত্যু হলে, পারভেজ মুশারফের দেহ তিনদিন ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের মসনদে ছিলেন মুশারফ। কারগিল যুদ্ধে হারের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উপর দায় চাপিয়ে ক্ষমতা দখল করেন তিনি। তাঁর আমলেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ তুঙ্গে পৌঁছায়। ২০০১ সালে ৯/১১ হামলার পর মুশারফের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে মার্কিন লড়াইয়ে যোগ দেয় পাকিস্তান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তাঁর আমলে বেশ মজবুত হয় পাক অর্থনীতি। ২০০২ সালে প্রসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলেও প্রতিশ্রুতি মতো সেনাপ্রধানের পদ ছাড়তে অস্বীকার করেন মুশারফ। ২০০৭ সালে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বরখাস্ত করেন তিনি। তারপর থেকেই প্রাক্তন সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের হওয়া বইতে শুরু করে। বাধ্য হয়ে গদি ছাড়তে হয় তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.