বাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হানাহানি, বিবাদ, অবিশ্বাস থেকে একদিনের জন্য মুক্তি। দিওয়ালির আলো যাবতীয় অন্ধকার মুছে দেয় পাকিস্তানের বসবাসকারী হিন্দুদের। আলোর উৎসবে মাতলেন পাক সংখ্যালঘুরা।
[যমুনা যমকে আদৌ ভাইফোঁটা দিয়েছিলেন তো?]
পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশেই মূলত ঘটা করে দিওয়ালি পালন হয়। এই এলাকায় হিন্দু-শিখদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। তবে লাহোর, পেশোয়ার, মুলতানের মতো শহরেও সাড়ম্বরে পালিত হল আলোর উৎসব। করাচির বিখ্যাত স্বামীনাথন মন্দির ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রে। কয়েকশো পাকিস্তানি হিন্দু জড়ো হন ওই মন্দিরে। প্রদীপ, মোমবাতি, টুনি বাল্বের আলোয় ভরিয়ে দেওয়া হয় মন্দির প্রাঙ্গণ। পোড়ানো হয় বাজি। করাচির ওই মন্দিরে স্বামী, সন্তানের সঙ্গে এসেছিলেন বীণা। তাঁর কথায়, ‘‘এই উৎসবে সবথেকে বেশি আনন্দ পায় ছেলেমেয়েরা। দিওয়ালি উপলক্ষ্যে বাচ্চাদের জামা কিনে দেওয়া হয়। ওরা যেন এই দিনটার দিকে তাকিয়ে থাকে।’’ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর দর্শনার্থীরা বাড়িতে ফিরে মোমবাতি ও প্রদীপ জ্বালান। পোড়ানো হয় বাজি। পাশাপাশি চলে মিষ্টিমুখ, খাওয়া-দাওয়া এবং কুশল বিনিময় চলে। হিন্দুদের পাশাপাশি শিখরাও আসেনে এই বিখ্যাত মন্দিরে। শিখ ধর্মমতে দিওয়ালির দিনে তাদের গুরু গোবিন্দ সিং গোয়ারিয়র দুর্গ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে এর জন্য বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। আলোর এই উৎসবে শামিল হন পাকিস্তানের মুসলিম এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা।
[ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় জওয়ান ভাইদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা লতা মঙ্গেশকরের]
দিওয়ালি উপলক্ষে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে পাক সরকার। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ আখান আব্বাসি এক বার্তায় জানান সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষা এবং উন্নয়নে সরকার দায়বদ্ধ। সম্প্রীতি বজায় রাখতে তিনি ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসার আবেদন জানান। স্বামীনাথন মন্দিরে গিয়েছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির সেনেটর সইদ ঘানি। তিনি জানান, ‘‘পিপিপি ধর্মকে কখনওই রাজনীতির সঙ্গে মেশাতে চায় না। আমরা দুনিয়াকে জানাতে চাই পাকিস্তান সংখ্যালঘুদের পাশে রয়েছে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.