সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান (Pakistan)। মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়ে সাধারণ মানুষের পরিস্থিতি শোচনীয়। তাঁদের অসহায়তা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা নতুন করে ফুটে উঠতে দেখা গেল এক ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় (Viral video)। সেখানে দেখা যাচ্ছে প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে রান্নার গ্যাস (Cooking Gas) বিক্রি হচ্ছে পাকিস্তানে! যা দেখে শিহরিত নেটিজেনরা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, প্রকাণ্ড সব ব্যাগে ভরে রান্নার গ্যাস নিয়ে যাচ্ছেন মানুষ। দাবি, গ্যাস পাইপলাইন নেটওয়ার্কের কাছাকাছি অবস্থিত দোকান থেকে ওই গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। মানুষ রান্নাঘরে ছোট ইলেকট্রিক সাকশন পাম্পের সাহায্যে ওই গ্যাস ব্যবহার করছে। তবে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি।
In Pakistan, the practice of using gas packed in plastic bags instead of cylinders for cooking has increased. Gas is sold by filling bags inside the shops connected to the gas pipeline network. People use it in the kitchen with the help of a small electric suction pump.#pkmb pic.twitter.com/e1DpNp20Ku
— R Singh…🤸🤸 (@lonewolf_singh) December 31, 2022
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই দৃশ্য খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের। এখানকার কারাক জেলায় ২০০৭ সাল থেকে রান্নার গ্যাস বিক্রি হয় না। পাইপলাইনের বেহাল দশায় হাঙ্গু শহরেও রান্নার গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ বছর দুয়েক। এবার ধরা পড়ল আরেক দৃশ্য। এই ভাবে গ্যাস ব্যবহার করা যে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে চিনি, ময়দা ও ঘিয়ের দাম নতুন করে বাড়িয়েছে পাক সরকার। রাতারাতি ২৫ থেকে ৬২ শতাংশ দাম বেড়েছে। চিনির মূল্য ৭০ টাকা প্রতি কেজি থেকে হয়েছে ৮৯ টাকা। অন্যদিকে ঘিয়ের দামও ময়দার দান ৪০ টাকা কেজি থেকে এখন ৬৪.৮ টাকা। ঘিয়ের দামও ২৭ শতাংশ বেড়ে কেজি প্রতি ৩৭৫ টাকা হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে মাসিক ক্রয়ের সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ময়দা ৪০ কেজি, চিনি ৫ কেজি ও ঘি ৫ কেজি- এক মাসে এর বেশি কোনও নাগরিককে কিনতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যে ভয়াবহ তা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। রাজকোষে অর্থের জোগানেও টান পড়েছে। সব মিলিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে থাকা পাক প্রশাসন এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে চেষ্টা চালালেও কাজটা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে, মত ওয়াকিবহাল মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.