ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গম দেওয়া বন্ধ। জলের উৎস দখল করে শোষণ করা হচ্ছে। মিলছে না প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। চড়া দাম বিভিন্ন জিনিসের। শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা। দিন দিন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। অথচ কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই পাকিস্তান প্রশাসনের। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে এইরকম একাধিক অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। ইসলামাবাদের শাসনে থাকতে নারাজ তাঁরা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, আবার কি ভাঙতে চলেছে পাকিস্তান?
এএনআই সূত্রে খবর, শুক্রবার একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। Pok-র দখল ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা। পাশাপাশি জলের উৎসগুলোকে দখল করে রাখা এবং তাঁদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে সেগুলো ব্যবহার করার জন্যও পাক প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের এহেন ক্ষোভ বহুদিনের। কিন্তু এবার যেন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে।
এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে ইউনাইটেড কাশ্মীর পিপলস ন্যাশনাল পার্টির বিদেশ সচিব জামিল মাকসুদ লেখেন, ‘মুজাফফারাবাদ-PoK দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। এখন পাকিস্তান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ডামাডোলে জেরবার। যা প্রমাণ করে, ১৯৪৭-ও হয়নি কিন্তু ২০২৪-এ হবে (পাকিস্তান ভাগ)। এখন নয়তো পরে দখলদারি ছাড়তেই হবে পাকিস্তানকে। আর কোনও বিস্ফোরণ নয়। আর কোনও দুর্নীতিও নয়।’
এদিনের বিক্ষোভে শয়ে শয়ে মানুষ গম সংগ্রহের জন্য নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পুঞ্চে আসার দাবি জানান। মিছিল থেকে বাসিন্দারা বলেন, পাকিস্তান তাঁদের কোনও প্রয়োজনীয় জিনিস দিচ্ছে না। যা নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের আওয়ামি পার্টির এক শীর্ষ নেতা বলেন, “পাকিস্তানের নিজেদের আর অবশিষ্ট কিছু নেই। ওরা নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। তাই ওরা আমাদের কোনও সমস্যার সমাধান করছেন না। শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের গম দিতেই হবে। ট্যাট্রিনোটে বহু মানুষ অপেক্ষা করছেন। ওরা যদি মনে করে থাকে আমরা সন্তুষ্ট তাহলে এটা ওদের বড় ভুল হবে। আমরা জানি, পাকিস্তান কেন আমাদের গম দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ আমরা আমাদের অধিকারের জন্য সুর চড়াচ্ছি।”
উল্লেখ্য, কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতকে বার বার খোঁচা দিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের পালটা মারে হালে পানি পায়নি ইসলামাবাদ। নয়াদিল্লি প্রতিবারই জানিয়েছে, অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়ুক পাকিস্তান। সংখ্যালঘুদের উপর অকথ্য নির্যাতন চলে সেখানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.