সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগস্টে কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলার বদলা নিতে ড্রোন স্ট্রাইক চালিয়েছিল আমেরিকা। তবে ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)-এর জঙ্গি নয়, ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১০ আফগান নাগরিকের। শুক্রবার সেই ভুল স্বীকার করল পেন্টাগন।
মার্কিন ফৌজের সেন্ট্রাল কমান্ডের (CENTCOM) প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি শুক্রবার স্বীকার করেছেন যে কাবুলে (Kabul) আগস্টের শেষের দিকে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে ৭ শিশু-সহ দশজন। পেন্টাগনের প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিকদের বলেন, “তদন্তের ফলাফল পর্যালোচনা করার পর, আমি এখন নিশ্চিত হয়েছি যে সেই হামলায় সাতজন শিশু-সহ আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। কমান্ডার হিসেবে আমি ওই হামলার দায় স্বীকার করছি। মৃতের পরিজনদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি আমি। আরও একটি হামলা ঠেকাতেই ড্রোন স্ট্রাইক চালানো হয়েছিল। তবে তা একটি বড় ভুল ছিল।”
২৭ আগস্ট কাবুলে ড্রোন হানার ঘটনায় আম নাগরিকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। এই ঘটনাকে একটি ‘ভয়ানক ভুল’ বলে উল্লেখ করে কে দায়ী তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে নিহতদের পরিজনদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পেন্টাগন। কিন্তু আমেরিকার এহেন ভুলে গোটা অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ইন্টেলিজেন্স ফেলিওর বা গোয়েন্দাদের বিফলতার এই ভয়ানক উদাহরণ মার্কিন ফৌজকে কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, তালিবান কাবুল দখলের পরই আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে উদ্ধারকার্য শুরু করেছিল আমেরিকা। উদ্ধারকার্য চলাকালীনই ২৬ আগস্ট কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। পর পরই কাবুলের বিভিন্ন জায়গায় আরও দুটি বিস্ফোরণ হয়। মোট ১৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। ওই হামলার দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)। তারপরই ২৭ আগস্ট, আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালায় মার্কিন ফৌজ। ওই হামলায় খতম হয়েছে বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের মূলচক্রী বলে দাবি করেছিল মার্কিন ফৌজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.