Advertisement
Advertisement
COVID-19

কোন চারটি কারণের জন্য রাশ টানা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণে, জানাল WHO

করোনার দাপট এতটুকুও কমেনি, জানিয়ে দিলেন সংস্থার প্রধান গবেষক।

Pandemic isn’t slowing down, says WHO chief scientist | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:July 10, 2021 11:51 am
  • Updated:July 10, 2021 11:51 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও করোনা ভাইরাস (Coronavirus) দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সারা বিশ্বে। অতিমারীর (Pandemic) হাত থেকে রেহাই পায়নি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কার কথাই শোন‌ালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান গবেষক ডা. সৌম্যা স্বামীনাথন। জানিয়ে দিলেন কোথাও কোথাও সংক্রমণের গতি কমলেও সামগ্রিক ভাবে অতিমারীর বিপদ কমছে, এমনটা মোটেও বলা যাচ্ছে না। বরং চারটি প্রধান কারণের ধাক্কায় বিশ্বজুড়ে এখনও অব্যাহত মারণ ভাইরাসের রক্তচক্ষু।

সম্প্রতি ‘ব্লুমবার্গ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এবিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন স্বামীনাথন। কোন চারটি কারণের কথা জানিয়েছেন তিনি? তাঁর মতে ডেল্টা স্ট্রেন, সামাজিক মেলামেশা, লকডাউনের রাশ আলগা করা ও টিকাকরণের শম্বুক গতি- এই চারটি কারণই এই মুহূর্তে করোনার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শেষ আমেরিকার ‘মিশন আফগানিস্তান’, তালিবানি সন্ত্রাস রুখতে পাশাপাশি ভারত-রাশিয়া]

স্বামীনাথন জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত করোনার যতগুলি স্ট্রেন দেখা গিয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতে মেলা ডেল্টা স্ট্রেন। যা এখন ইউরোপ, আমেরিকা হয়ে সারা বিশ্বের বহু দেশেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাঁর দাবি, আদি করোনা ভাইরাসে একজন আক্রান্ত হলে তাঁর থেকে ৩ জন আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ডেল্টার ক্ষেত্রে সেটা একজন থেকে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে!

এছাড়াও বহু দেশে মানুষ দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে এবার সামাজিক মেলামেশা শুরু করেছে। বহু দেশই লকডাউন তুলে দিয়েছে কিংবা রাশ আলগা করেছে। এর ফলেও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। তাঁর আরও আশঙ্কা, যেভাবে প্রথম বিশ্বের দেশ মাস্ক পরা কিংবা সামাজিক দূরত্বের মতো কোভিড বিধি নিয়েও কড়াকড়ি করছে না তা বিপদ আরও বাড়াচ্ছে। এর সঙ্গে আরেকটি ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে টিকাকরণের ধীরগতি। সেই সঙ্গে অক্সিজেন কিংবা হাসপাতালে বেডের ঘাটতির মতো ফ্যাক্টরও পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে বলেই মত স্বামীনাথনের।

[আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ অঞ্চল দখলে, তুমুল লড়াইয়ের মাঝে ঘোষণা তালিবানের]

এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে কী অবস্থা সংক্রমণের? স্বামীনাথন জানাচ্ছেন, ‘‘গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন অন্তত ৯ হাজার ৩০০ জন।’’ আফ্রিকায় গত ২ সপ্তাহে মৃত্যুহার একধাক্কায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement