সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্তে ওপারে নাশকতা করার জন্য জঙ্গী গোষ্ঠীগুলিকে ক্রমাগত মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের এই মনোভাবের জন্যই ভারতের সঙ্গে তাদের আলোচনা সম্ভব হচ্ছে না। মঙ্গলবার এই দাবিই করল আমেরিকা। ট্রাম্প প্রশাসন চায়, সিমলা চুক্তি মেনে দু’পক্ষই আলোচনায় বসে এই উত্তেজক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা খুঁজুক। তবে পাকিস্তানের জন্যই সেটা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের।
মঙ্গলবার এপ্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের কার্যকরী অতিরিক্ত সচিব অ্যালিস জি ওয়েলস বলেন, ‘আমরা ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি অনুযায়ী ভারত-পাকিস্তানের পারস্পারিক আলোচনায় বিশ্বাসী। এর ফলেই উত্তেজনার প্রশমন হবে বলে মনে হয়। এর আগে ২০০৬-০৭ সালে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্যে দিয়েই কাশ্মীর-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছিল। ইতিহাস আমাদের দেখায় কোনটা সম্ভব। কিন্তু, পাকিস্তান সেই পথে হাঁটছে না। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না করে, লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিচ্ছে ভারতে হামলার জন্য। লস্কর ও জইশের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীকে পাকিস্তানের সমর্থনই ভারতের সঙ্গে আলোচনার প্রধান বাধা।
বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের সাব কমিটিতে দক্ষিণ এশিয়ায় মানবাধিকার: বিদেশ মন্ত্রক এবং অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত মতামত” সম্পর্কিত শুনানি হবে। তার আগে এই সম্পর্কে ওই সাব কমিটিতে নিজের রিপোর্ট জমা দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যালিস। সেখানে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি কাশ্মীর প্রসঙ্গে দিল্লির সিদ্ধান্তের প্রতি আমেরিকার সমর্থনের কথা পরিষ্কার করা হয়েছে। অ্যালিস জানিয়েছেন, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের যে সিদ্ধান্ত ভারত নিয়েছে তাকে সমর্থন করে আমেরিকা। তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে গত ৫ আগস্ট থেকে সেখানকার ৮০ লক্ষ মানুষের জীবনে যে প্রভাব পড়েছে তার দিকেও নজর রয়েছে হোয়াইট হাউসের। লক্ষ্য করা গিয়েছে, জম্মু ও লাদাখের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও কাশ্মীরে এখনও ভারতীয় প্রশাসন এবং জঙ্গিদের লড়াই চলছে। নাশকতার চেষ্টা করার পাশাপাশি জঙ্গিরা স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীদের খুন করছে, ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। আমেরিকা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.