Advertisement
Advertisement

কুলভূষণের মতোই ৪ ভারতীয়কে জঙ্গি তকমা দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা পাকিস্তানের

কেন এই চারজনকেই টার্গেট করছে পাকিস্তান?

Pakistan trying to brand four Indians as terrorists: Report

ফাইল ফটো

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 22, 2019 9:32 am
  • Updated:November 22, 2019 9:32 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক জনমত তৈরি করে সব দেশকে পাশে নিয়ে পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী তালিকায় ঢোকাতে সক্ষম হয়েছে ভারত। এর বদলা নিতেই এখন কুলভূষণ যাদবের মতোই চার ভারতীয় নাগরিককে রাষ্ট্রসংঘে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করতে চায় পাকিস্তান। আর এই কাজে তারা পাশে পেয়েছে চিনকে।

পাকিস্তান যে চার ভারতীয়কে রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাসবাদী তালিকায় ঢোকানোর চেষ্টা করছে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত খবর পেয়েছে সাউথ ব্লক ও ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (এনআইএ)। এই চার ভারতীয় হলেন অন্ধ্রপ্রদেশের আপ্পাজি আংগারা, ওড়িশার গোবিন্দ পট্টনায়েক দুগ্গিভালাসা, অজয় মিস্ত্রি এবং বেণুমাধব ডোংগারা। আফগানিস্তানে কর্মরত ছিলেন এই চারজনেই। পাকিস্তানের দাবি, এরা ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর চর। এরা বালুচিস্তান-সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে নাশকতা, বিস্ফোরণের ছক কষেছিল। এরা অনেক নাশকতাও চালিয়েছে। ভারতের দাবি, এরা নিছকই কেউ দূতাবাস কর্মী। কেউ বেসরকারি সংস্থার সামান‌্য চাকুরে বা কেরানি। পাকিস্তান যে এদের নিশানা করেছে তা জানতে পেরে চারজনকেই দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে ভারত। কাবুলের একটি ব্যাংকে সফটওয়্যার ডেভলপার হিসেবে কাজ করতেন আপ্পাজি আংগারা। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৭-য় লাহোরের মল রোডে সন্ত্রাসবাদী হামলার অভিযোগ এনেছে পাকিস্তান।

Advertisement

তবে বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বললেই চলে। কাশ্মীর ইস্যুতে চিন ছাড়া ইসলামাবাদের পাশে রাষ্ট্রসংঘে প্রায় কোনও দেশই দাঁড়ায়নি। ফলে এবারেও পাকিস্তানের চেষ্টা যে সফল হবে না তা বলাই বাহুল্য। কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত, ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রাক্তন গভর্নর নিকি হ‌্যালি অভিযোগ করেন যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেয়। পরে তারা জঙ্গি শিবির থেকে বেরিয়ে মার্কিন সেনাদের উপর ঝঁপিয়ে পড়ে, তাঁদের খুন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ‌্যপ্রমাণ দেখে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। আমেরিকার থেকে সবচেয়ে বেশি সাহায‌্য পাওয়া দেশগুলির অন‌্যতম হয়েও পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘে আমেরিকার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দেওয়া চালিয়ে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: মসনদে ‘চিনপন্থী’ গোতাবায়া, পরিস্থিতি সামাল দিতে জয়শংকরকে পাঠাল উদ্বিগ্ন ভারত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement