সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭০ ধারা বিলোপ ইস্যুতে দুনিয়ার সব প্রান্তেই কোণঠাসা হয়েছে পাকিস্তান। যত তারা কোণঠাসা হচ্ছে ততই তীব্র হচ্ছে ভারত বিরোধী জেহাদ। তারই অঙ্গ হিসাবে শুক্রবার পাকিস্তান থর এক্সপ্রেস ও দিল্লির-লাহোর বাস পরিষেবা বন্ধ করার কথা ঘোষণা করল। বৃহস্পতিবারই তারা বন্ধ করেছিল সমঝোতা এক্সপ্রেস। এবার তারা বন্ধ করল থর এক্সপ্রেস।
[আরও পড়ুন: আরও কোণঠাসা পাকিস্তান, কাশ্মীর নিয়ে ইসলামাবাদের দাবি খারিজ করল রাষ্ট্রসংঘ]
পাক রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের খোকরাপার ও রাজস্থানের বারমেরের মুনাবাও-এর মধ্যে চলা সাপ্তাহিক ট্রেন থর এক্সপ্রেস বন্ধ করে দেওয়া হল। যতদিন আমি রেলমন্ত্রী রয়েছি, ততদিন পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কোনও ট্রেন চলবে না। তার আগে ১৯৭৬ সাল থেকে লাহোর ও দিল্লির মধ্যে চলা সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।” এদিকে, দিল্লি-লাহোর বাস পরিষেবা বন্ধের কথা ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের যোগাযোগ ও ডাক পরিষেবা মন্ত্রী মুরাদ সইদ।
In line with the decisions of NSC Pak-India bus service is suspended.
— Murad Saeed (@MuradSaeedPTI) August 9, 2019
শুধুমাত্র রেল পরিষেবা নয়, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর ভারতের সঙ্গে সব রকমের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই সেখানকার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের কোনও ছবি বা থিয়েটার পাকিস্তানে দেখানো হবে না। এমনকী, ভারতীয় শিল্পীদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক কড়াকড়ি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরও মুনাবাও-খোকরাপার সীমান্ত দিয়ে রাজস্থানের যোধপুর থেকে করাচি পর্যন্ত যাতায়াত করত থর এক্সপ্রেস। সমঝোতা এক্সপ্রেসে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন দু’য়ের অনুমতি থাকলেও থর এক্সপ্রেসে শুধুই যাত্রী পরিবহন চলত। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় এই ট্রেন লাইন কার্যত ধ্বংস হয়ে যায়। তার প্রায় ৪১ বছর পর ২০০৬ সালে ফের এই লাইনে শুরু হয় ট্রেন যোগাযোগ। পাকিস্তানের থর এক্সপ্রেস বাতিলের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দীর্ঘ সেই ইতিহাসেও ছেদ পড়ল।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানকে ধমক তালিবানের! পাক ষড়যন্ত্রে জল ঢালল আফগানরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.