Advertisement
Advertisement
Pakistan

পাকিস্তানের সেনাচৌকিতে গোলাবর্ষণ তালিবানের, তীব্র প্রতিবাদ ইসলামাবাদের

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে তুঙ্গে সীমান্ত সংঘাত।

Pakistan summons Afghan officials over cross-border shelling in Chaman-Spin Boldak area | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 17, 2022 11:10 am
  • Updated:December 17, 2022 11:10 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে তুঙ্গে সীমান্ত সংঘাত। সীমান্তে পাক সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে তালিবান বলে অভিযোগ জানিয়েছে ইসলামাবাদ। এই মর্মে পড়শি দেশটির প্রশাসনের প্রতিনিধিদের ডেকে ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানিয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার।

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শুক্রবার ইসলামাবাদে থাকা তালিবানের (Taliban) প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠায় পাক বিদেশমন্ত্রক। পাক-আফগান সীমান্তের চমন-স্পিন বলডাক এলাকায় তালিবান বাহিনীর গোলাবর্ষণের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। এই বিষয়ে জারি করা এক বিবৃতিতে পাক বিদেশমন্ত্রক বলেছে, “সম্প্রতি চমন-স্পিন বলডাক এলাকায় বিনা প্ররোচনায় গোলাবর্ষণ করে আফগান সীমান্তরক্ষীরা। এতে প্রাণহানি এবং সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে। এই বিষয়ে আফগানিস্তানের দূতকে ডেকে পাঠিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: কিয়েভ দখলে আসছে রুশ চতুরঙ্গ বাহিনী, চূড়ান্ত যুদ্ধের জন্য তৈরি ২ লক্ষ সেনা!]

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার আফগান-পাক সীমান্তে ভয়াবহ গোলাবর্ষণ করে তালিবানের সীমান্তরক্ষীরা। ওই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত পনেরো জন। তাদের মধ্যে শিশু ও মহিলারাও রয়েছে। উত্তেজনার ফলে চমন মার্কেট বন্ধ করে দেয় পাক প্রশাসন। সংঘাতের পর থেকেই ওই এলাকায় আরও সেনা মোতায়েন করেছে পাকিস্তান।

এই প্রথম নয়, এর আগেও সীমান্ত নিয়ে সংঘাতে জড়ায় পাক সেনা ও আফগান তালিবান। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দু’টি পৃথক ঘটনায় পাক সীমান্ত লাগোয়া আফগানিস্তানের নিমরোজ ও নানগরহার প্রদেশে সীমান্ত বরাবর বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে পাকিস্তানি ফৌজ। কিন্তু সেই ফেন্সিং ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় সেখানে মোতায়েন তালিবান সীমান্তরক্ষীরা। শুধু তাই নয়, বাধা দিলে পাক ফৌজিদের গুলি করারও হুমকি দেয় তারা।

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। আর অতীতকাল থেকেই সেই সীমান্ত নিয়ে সংঘাত চলছে কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে। ১৯৪৭ সাল থেকে কোনও আফগান সরকার ডুরান্ড লাইনকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। পাক নীতিনির্ধারকরা মনে করছিলেন তালিবান ক্ষমতায় এলে তারা সেই স্বীকৃতি দেবে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিল জেহাদিরা।

[আরও পড়ুন: ‘গুজরাট গণহত্যার কসাই মোদি’, পাক বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক, পালটা জবাব ভারতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement