সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান আর সন্ত্রাসবাদ যেন সমার্থক। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন সন্ত্রাসবাদীদের মদতের প্রশ্নে কখনও পিছপা হয় না ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। গোটা বিশ্ব যখন করোনা নামক মহামারির বিরুদ্ধে লড়ছে, তখন একপ্রকার প্রকাশ্যেই সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া শুরু করল ইমরান খানের দেশ। সন্দেহভাজন জঙ্গিদের তালিকা থেকে রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হল ৩ হাজার ৮০০ জনের নাম। অর্থাৎ এদের উপর নজরদারি চালানো বন্ধ করে দিল পাকিস্তান।
Castellum.AI নামের এক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের দাবি Financial Action Task Force এর নির্দেশিকা অনুযায়ী পাকিস্তানে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের একটি তালিকা সরকারকে তৈরি করতে হয়। সেই তালিকায় যাদের নাম থাকে তারা প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার থানায় হাজিরা দেয়। এবং সরকার তাদের প্রতিটি কার্যকলাপের উপর নজর রাখে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে এই তালিকাটিতে ৭ হাজার ৬০০ জনের নাম ছিল। যা কিনা সর্বকালের সর্ববৃহৎ। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই তালিকাটি অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। গত ১৮ মাসে এই তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে ৩ হাজার ৮০০ জনকে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, এদের সন্দেহভাজন জঙ্গি তালিকা থেকে কেন সরানো হল? তার কোনও ব্যাখ্যা পাকিস্তান সরকার দিতে পারেনি।
Castellum.AI নামের ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, করোনার সুযোগ নিয়ে গত একমাসের মধ্যেই প্রায় ১ হাজার ৯০০ জঙ্গিকে সন্দেহভাজন তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। পাক সরকার FATF-কে জানিয়েছে, যাদের তালিকা থেকে বের করা হয়েছে তারা প্রত্যেকে নিয়ম মেনে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করছিল। নিয়মিত থানায় হাজিরা দিত। এবং এদের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে কোনও অভিযোগ বা মামলা সক্রিয় নেই। আসলে পাক সরকার সন্দেহভাজন জঙ্গিদের উপর সবরকমের নজরদারিই বন্ধ করে দিয়েছে। আর এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনও মামলাও করা হয়নি। যাতে কৌশলে তাদের উপর থেকে নজরদারির খড়গ তুলে নেওয়া যায়। পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সরকারি ওয়েবসাইটে স্বীকার করা হয়েছে, সন্দেহভাজন জঙ্গি তালিকা থেকে ৩ হাজার ৮০০ জন বাদ গিয়েছেন। কিন্তু ঠিক কিসের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তাঁর কোনও ব্যাখ্যা নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.