সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে এফএটিএফের ‘ধূসর তালিকা’ থেকে বেরিয়ে এল পাকিস্তান। ১৮ থেকে ২১ অক্টোবর প্যারিসে বৈঠকে বসে সন্ত্রাসবাদের উপর নজরদারি সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)। এই বৈঠকেই পাকিসস্তানকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শুক্রবার এফএটিএফের প্রেসিডেন্ট টি রাজা কুমার বলেন, “ওদের (পাকিস্তান) ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও তাদের অনেক কিছুই (সন্ত্রাসবাদ দমন) করতে হবে।তবে তারা সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে। আমরা সন্তুষ্ট। আমরা চাই জঙ্গিদের অর্থ জোগান ঠেকাতে আসিয়া-প্যাসিফিক এই সংগঠনটির সঙ্গে কাজ করুক পাকিস্তান।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন এফএটিএফ প্রতিনিধিরা। তাঁরা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাকিস্তানি প্রশাসকদের মধ্যে যথেষ্ট রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে।”
They’ve (Pakistan) been removed from the grey list, however, there’s still work to be done on their part. I’m encouraging Pakistan to continue to work with the Asia-Pacific group to continue taking steps to combat terrorism financing: FATF president T Raja Kumar https://t.co/NNoXt71VJg pic.twitter.com/PznkMAy2iB
— ANI (@ANI) October 21, 2022
সূত্রের খবর, সন্ত্রাসবাদে আর্থিক ও অন্যান্য মদত বন্ধ করতে সংস্থাটি পাকিস্তানকে (Pakistan) ৩৪টি শর্ত দিয়েছিল। সেই অ্যাকশন প্ল্যানের সব ক’টি শর্তই নাকি ইসলামাবাদ পূরণ করেছে! ওই শর্তের মধ্যে ২৭টি ছিল সন্ত্রাসে আর্থিক মদত সংক্রান্ত এবং সাতটি বেআইনি অর্থ পাচারের বিষয়ে। ২৯ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান সফর করে এফএটিএফ-এর ১৫ সদস্যের একটি দল। ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইইউ, এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ (এপিজি) এবং অন্যান্যদের প্রতিনিধিরা পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন চলাকালীন রিপোর্ট জমা দেন এবং আলোচনা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, চার বছর পরে পাকিস্তানের ‘শাপমুক্তি’র নেপথ্যে রয়েছে আমেরিকা। ইমরান খান সরকারের পতন চাইছিল ওয়াশিংটন। ইমরানের আমলে চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের দহরম মহরম মেনে নিতে পারছিল না আমেরিকা। আফগানিসস্তানে তালিবানের ফিরে আসা এবং মধ্য এশিয়ায় চিনা প্রভাব বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই শাহবাজ শরিফের সরকার ও পাক সেনাকে উপহার বাইডেন (Biden) প্রশাসনের। কারণ, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস রপ্তানিতে পাকিস্তানের ভূমিকা সবার জানা। বিশেষ করে, আল কায়দা, হিজবুল মুজাহিদিন, লসস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জেহাদি সংগঠনগুলির সঙ্গে আইএসআইয়ের সম্পর্ক কারও অজানা নয়। ফলে ধূসর তালিকা থেকে ইসলামাবাদের নাম বাদ দেওয়ার নেপথ্যে আমেরিকার হাত নিয়ে সেই অর্থে সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না বলেই মত বিশ্লেষকদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.