সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে বন্ধু চিনের তোপ। তবুও নিজেদের ভাঙতে রাজি নয় পাকিস্তান। ব্রিকস সম্মেলের সম্মিলিত দাবি খারিজ করে জোরাল প্রতিবাদ জানাল ইসলামাবাদ।
পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে তাদের দাবি, পাকিস্তানের মাটি জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য নয়। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররম দস্তাগির জানান, পাকিস্তান কখনই সন্ত্রাসবাদী শক্তির নিরাপদ আস্তানা নয়। পাক সংবাদমাধ্যমে তাঁর সাফাই, এই সব গোষ্ঠীগুলি দেশের কোনও কোনও অংশে রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাদের কোনওভাবেই সমর্থন করে না পাক সরকার। পাশাপাশি, এদিন, সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খুররমের বক্তব্য, তাদের দেশকে সন্ত্রাসবাদী শক্তির স্বর্গরাজ্য হিসাবে উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে ব্রিকস। এমন অবিবেচক সিদ্ধান্তকে বাতিল বলে ঘোষণা করেছে পাক সরকার। এই পদক্ষেপের ফলে ব্রিকস সদস্যভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন ফের শুরু হল বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
[লস্কর-জৈশের উপর লাগাম টানুক পাকিস্তান, চাপ চিনের]
প্রসঙ্গত, এবারের ব্রিকস সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ থেকে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় বার বার উঠে এসেছে পাকিস্তানের নাম। ৪৩ পাতার ঘোষণাপত্রে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে তালিবান, আইএস, আল কায়দা, তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট, উজবেকিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট, হাক্কানি নেটওয়ার্ক, লস্কর ই তৈবা, জইশ ই মহম্মদ, তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তান এবং হিজব উত তেহরির জঙ্গি সংগঠনকে। এই সংগঠনগুলি পাক সরকারের ‘আশ্রয়ে’ নিরাপদ রয়েছে বলেও এই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
[হিন্দুদের সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত, হুঁশিয়ারি জঙ্গি নেতা মাক্কির]
সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে সতর্ক করেছিলেন। তবে ব্রিকস সম্মেলনে পাকিস্তানের ঘাড়ে দোষ চাপানোর ফল সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে ধারণা চিনা কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এর জেরে আফগানিস্তান ও বিশেষত পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের গড়ে ওঠা দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ায় ভুল বার্তা দেওয়া হল বলেই তারা মনে করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.