Advertisement
Advertisement
Pakistan

ঋণ মেটাতে চিনকে জমি দিচ্ছে পাকিস্তান, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা

চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পের ফাঁদে পাকিস্তান।

Pakistan: Protests in Gilgit Baltistan over secret land deals with China | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 12, 2022 9:26 am
  • Updated:May 12, 2022 9:26 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা ঋণের ভারে নুয়ে পড়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। কিছুতেই দেনা শোধ করা সম্ভব নয় বলে কার্যত মেনে নিয়েছে ইসলামাবাদ। তাই এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ চিনের হাতে তুলে দিতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার বলে খবর। এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই পাক শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গিলগিট-বাল্টিস্তানের বাসিন্দারা।

[আরও পড়ুন:আচমকাই ইউক্রেনে মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন! জেলেনস্কির স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ]

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শীঘ্রই অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) গিলগিট-বাল্টিস্তান প্রদেশের হুনজা উপত্যকা চিনকে লিজ দিচ্ছে পাকিস্তান। ফলে প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার ওই অঞ্চলের খনিজ পদার্থ আহরণ করতে পারবে বেজিং। এভাবেই দেনা শোধ করতে চলেছে শাহবাজ সরকার। এদিকে, এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রবল প্রতিবাদ শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা, এবার জোর করে জমি দখল করা হবে। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিগত দিনে পাক সেনার সঙ্গে বেশ কয়েকটি সংঘাতও হয়ছে স্থানীয় জনতার। গত মাসে ইসলামাবাদের নীতির প্রতিবাদ করায় গিলগিট-বাল্টিস্তানের পর্যটন মন্ত্রী রাজা নাসির আলি খান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাজি গুলবার সাবকে বেদম মারধর করে পাকিস্তানি ফৌজের জওয়ানরা। তারপর থেকেই সেনাবাহিনীর উপর খাপ্পা হয়ে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

উল্লেখ্য, ভারতের বিরোধিতা সত্বেও চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC) প্রকল্পের অন্তর্গত পাক অধিকৃত কাশ্মীর-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পরিকাঠামো নির্মাণ করছে চিন। তবে এই প্রকল্পের যে বিপুল খরচ তার ফলে ক্রমে বেজিংয়ের ঋণের বোঝায় কার্যত চাপা পড়েছে ইসলামাবাদ বলেই মত বিশ্লেষকদের। আর সেই আশঙ্কা যে অমূলক নয় তার প্রমাণও মিলেছে। গতবছর এক রিপোর্টে বলা হয়, চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প থেকে বিপুল লাভ করে চলেছে চিন। লাভের অঙ্ক নিয়ে পাকিস্তানকে বোকা বানাচ্ছে তারা। পাকিস্তানের শীর্ষ আমলারা এ ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি অডিট রিপোর্ট পেশ করেছিলেন তৎককালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে। ২৭৮ পাতার ওই রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে ছিল চিনের প্রতি বিষোদ্গার।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারী, সন্ত্রাসবাদ ও অপশাসনের জেরে ক্রমশই অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে পাকিস্তান। সেদেশের মুদ্রাস্ফীতি ইতিমধ্যেই গড়েছে নয়া নজির। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে ঠেকায় অর্থনীতি কার্যত ভেঙে পড়েছে। সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার লোন নিয়ছে দেশটি।

[আরও পড়ুন: হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী নির্বাচিত চিনপন্থী জন লি, স্বশাসিত প্রদেশে আরও মজবুত বেজিংয়ের রাশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement