সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবারই ইস্তফা দিতে চলেছেন পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। আর সেই সঙ্গেই তিনি সেদেশের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে পরামর্শ দেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার। প্রেসিডেন্ট সাড়া দিলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হবে। উদ্দেশ্য, বছরের শেষে হতে চলা নির্বাচনের আগে হাতে অতিরিক্ত সময় রাখা।
২০১৮ সালে নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন ইমরান খান (Imran Khan)। তবে গত বছর এপ্রিল মাসে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে মসনদে আসেন শাহবাজ শরিফ। এবার তিনিও গদি ছাড়তে চলেছেন। তবে তা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য।
পাকিস্তানের (Pakistan) সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে সরকার ভেঙে দিতে হয়। কিছুদিনের জন্য দেশ চালানোর ভার নেয় কেয়ারটেকার সরকার। নির্বাচনে লড়ার জন্য কোনও দলই যেন বেশি সুবিধা না পায়, তা নিশ্চিত করতেই এমন নিয়ম। বিরোধী দলনেতা ও দেশের প্রধানমন্ত্রী মিলে ঠিক করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। সেখানে একমত হতে না পারলে একটি কমিটির কাছে নাম প্রস্তাব করতে হয়। সেখানেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলে দেশের নির্বাচন কমিশনের তরফেই একজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়।
এখন দেখার, বুধবার শরিফের ইস্তফার পরে এই সংক্রান্ত কী পদক্ষেপ করা হয়। উল্লেখ্য, আগামী ১৪ আগস্ট বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। সম্ভবত অক্টোবর মাসে নির্বাচন হতে পারে পাকিস্তানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.