সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে কূটনৈতিক, সকলেই তাঁকে পাকিস্তান আর্মির পছন্দের প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন । অনেকে বলছেন, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হলে আরও তলানিতে চলে যেতে পারে ভারত-পাক সম্পর্ক। কিন্তু ভোটে জয়ের আভাস পাওয়ার পর ইমরানের মুখো শোনা গেল অন্য কথা। দুই রাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি স্থাপনের কথা শোনালেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। জয়ের পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকেই তিনি বললেন, ভারত যদি শান্তির লক্ষ্যে একধাপ এগোয় তাহলে পাকিস্তান এগোবে দু’ধাপ।
Kashmiris are suffering for long. We have to solve Kashmir issue by sitting across the table, If India’s leadership is willing then the both of us can solve this issue through dialogue. It will be good for the subcontinent also: Imran Khan,PTI Chief pic.twitter.com/JvYHVNYmA3
— ANI (@ANI) July 26, 2018
পাকিস্তানের বহুলচর্চিত নির্বাচনের ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না ইমরান খানের পাকিস্তান তেহেরিক-এ-ইনসাফ বা পিটিআই। সরকার গড়ার জন্য ছোট দলগুলি বা নির্দল জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন প্রয়োজন হবে ইমরানের। তাতে কী? ইমরান শিবিরে ইতিমধ্যেই উৎসবের ছোঁয়া। সমর্থকরা পাকিস্তানের রাস্তায় উচ্ছ্বাস শুরু করে দিয়েছেন। আপাতত যা পরিস্থিতি ইমরানের পিটিআই জিতছে ১১৯ টি আসনে। নওয়াজ শরিফের পিএমএল(এন) পাচ্ছে ৬৩টি আসন। অন্যদিকে, বিলাবল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি পাচ্ছে ৩৭টি আসন। অন্যান্যরা জিতছে ৫০ টিরও বেশি আসন। ৩৪২ সদস্যের পাকিস্তান অ্যাসেম্বলিতে ২৭২ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকেন। বাকি আসনগুলি মহিলা এবং সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত, মহিলা এবং সংখ্যালঘুদের মনোনীত করা হয়। ক্ষমতায় আসার জন্য যে কোনও দলের ১৭২ জন প্রতিনিধির প্রয়োজন। এরমধ্যে ১৩৪ জন প্রতিনিধিকে সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসতে হয়। ইমরানের হাতে আপাতত প্রতিনিধি ১১৯ জন। অর্থাত কোনওভাবে আর জনা ১৫ জনপ্রতিনিধির সমর্থন জোগাড় করতে পারলেই প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসতে পারবেন ১৯৯২-এর বিশ্বকাপজয়ী।
#WATCH: PTI chief Imran Khan addresses the media in Islamabad. #PakistanElections2018 https://t.co/6Qb8AlhzZt
— ANI (@ANI) July 26, 2018
প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসা নিশ্চিত জেনেই হয়তো ইমরানের প্রথম সাংবাদিক বৈঠক ছিল অনেকটা রাষ্ট্রনায়কেরই মতো। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে প্রথমেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিতে চাইলেন ইমরান। তিনি বললেন, “ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের মূল সমস্যা কাশ্মীর। ৩০ বছর ধরে কাশ্মীরবাসী কষ্টে আছে। আমরা দ্রুত কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে চায়, ভারত চাইলে আলোচনায় বসতে রাজি। ভারত এক পদক্ষেপ নিলে আমরা দুই পা এগোবো। কাশ্মীর সমস্যা সমাধান হলে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য তা ভাল খবর।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.