Advertisement
Advertisement

Breaking News

Imran Khan

উইঘুর মুসলিম নিপীড়নে মৌন ইমরান, পালটা চিনকেই সমর্থন পাক প্রধানমন্ত্রীর

ভারত-সহ ইউরোপার দেশগুলিতে ইসলাম ভীতি নিয়ে বারবার সওয়াল করে ইসলামাবাদ।

Pakistan PM Imran Khan backs China on Uighurs, praises one-party system | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 3, 2021 10:08 am
  • Updated:July 3, 2021 10:08 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বে ইসলামের ধ্বজাধারী হিসবে নিজেকে প্রতিপন্ন করার মরিয়া চেষ্টা করে পাকিস্তান (Pakistan)। ভারত-সহ ইউরোপের দেশগুলিতে ইসলাম ভীতি নিয়ে বারবার সওয়াল করে ইসলামাবাদ। কিন্তু উইঘুর মুসলিমদের উপর চিনের নিপীড়ন নিয়ে মৌন দেশটি। পালটা শিনজিয়াংকে চিনের উইঘুর নীতি নিয়ে বেজিংকে ক্লিনচিট দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)।

[আরও পড়ুন: আফগান ভূমে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, সোভিয়েতের পর বাগরাম দেখল মার্কিন বিপর্যয়]

বৃহস্পতিবার চিনা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন ইমরান। এদিন চিনা কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইসলামাবাদ এসেছিলেন চিনের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। তাঁদের সঙ্গে কথোপকথনে ইমরান বলেন, “শিনজিয়াং নিয়ে চিনা আধিকারিকদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। উইঘুরদের নিয়ে তাঁরা যে সমস্ত কথা বললেন তা পশ্চিমের সংবাদমাধ্যম ও সরকারগুলির প্রকাশিত বিবরণের একেবারেই উলটো। চিনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। এটা বিশ্বাসের উপর তৈরি। তাই উইঘুরদের নিয়ে বেজিংয় যা বলেছে তা আমরা বিশ্বাস করি।” শুধু তাই নয়, আরও একধাপ এগিয়ে গণতন্ত্রের চাইতে চিনের ‘সিঙ্গল পার্টি পলিসি’ অনেকটাই ভাল বলে মত ইমরানের। অর্থাৎ, পাক প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন যে উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে শি জিনপিং প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনও কথা তিনি বলবেন না।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে শিনজিয়াং প্রদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা হওয়ার পর থেকেই উইঘুর মুসলিমদের উপর রাশ টেনেছে চিন। সেখানে উইঘুর (Uyghur) ও অন্য মুসলিম (Muslim) জনগোষ্ঠীর ওপর জুলুমের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কয়েকদিন আগে বিবিসি-র তরফে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বন্দিশিবিরে থাকা মুসলিম মহিলাদের উপর পরিকল্পনা করে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে চিন। সেই রিপোর্টকে ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমেরিকা। এর আগেও শোনা গিয়েছিল, মুসলিম মহিলাদের জোর করে অপারেশন করে বন্ধ্যা করে দেওয়া হচ্ছে কিংবা গর্ভপাত করানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমালোচিত হলেও তা নিয়ে বিশেষ হেলদোল নেই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি কিংবা ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন সবাই এই বিষয়ে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও লাভ হয়নি কোনও। পালটা বেজিংয়ের দাবি, তাদের দেশে যথেষ্ট ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শ্রম আইন রয়েছে। ফলে উইঘুর মুসলিমরা সমস্ত নাগরিক অধিকার নিয়ে ভাল রয়েছেন।

[আরও পড়ুন: কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষে ‘ফিরলেন’ চেয়ারম্যান মাও, আমেরিকার বিরুদ্ধে গর্জন চিনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement