সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মান্তকরণের পর এক শিখ কিশোরীকে জোর করে বিয়ে করার ঘটনায় ইতিমধ্যে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের৷ চাপের মুখে আট জনকে গ্রেপ্তারও করেছে ইমরান সরকার৷ কিন্তু এই ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে অন্য একটি নয়া তথ্য৷ সূত্রের খবর, যে মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে ওই শিখ কিশোরীকে ধর্মান্তকরণের পর জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযুক্ত যুবক আসলে মুম্বই হামলার মূলচক্রি হাফিজ সইদের জঙ্গি সংগঠনের সদস্য৷ একাধিক ভিডিওতে জঙ্গি সংগঠনে জামাত-উদ-দাওয়ার হয়ে কাজ করতে দেখা গিয়েছে অভিযুক্তকে৷
[ আরও পড়ুন: মাঝরাতে খাদে পড়ল বাস, দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ২৪ ]
শুক্রবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর, নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে এর আঁচ পৌঁছে গিয়েছে ভারতেও৷ ইমরান সরকারকে তুলোধনা করেছে নয়াদিল্লি৷ বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শিরোমণি অকালি দলের এক বিধায়ক মনজিন্দার এস সিরসা। তিনি অভিযোগ করেন, মেয়েটির দাদা ও বাবাকে খুন করার হুমকি দিয়ে তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এই বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার হস্তক্ষেপও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে এই বিষয়টি বিশ্বের সামনে তুলে ধরার আবেদন করেন। কীভাবে পাকিস্তানে শিখ মেয়েদের উপর অত্যাচার হচ্ছে তার প্রতিকারের আবেদন জানান তিনি। চাপের মুখে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে পাক সরকার৷ অবশেষে অভিযুক্ত মুসলিম যুবক এহসান-সহ তার পরিবারের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[ আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে সুর চড়াতেই ‘শক’ খেলেন পাক মন্ত্রী, তারপর… ]
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের নানকানা সাহিব শহরে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে ওই কিশোরী। সম্প্রতি তাকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, পরে ওই কিশোরীকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়ে বিয়ে করে। পরে বিয়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে অভিযুক্ত যুবক। যা পরে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, মুসলিম যুবকটির পাশে বসে আছে ওই মেয়েটি। নিজের নাম জগজিৎ কাউর বলে জানিয়ে সে দাবি করে কোনও চাপ ছাড়াই ওই ছেলেটিকে বিয়ে করছে। যদিও তা কোনওভাবেই মানতে চায় না মেয়েটির পরিবার ও আত্মীয়স্বজনরা। মেয়েকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়ে বিয়ে করার অভি, স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু, কোনও সুরাহা না পেয়ে বাধ্য হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তারপরেও অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। তবে ভারতের নজরে আসার পর বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় পাক সরকার৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.