Advertisement
Advertisement

Breaking News

কুলভূষণ সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে নারাজ পাকিস্তান

কোথায় রাখা হয়েছে প্রাক্তন নৌসেনা অফিসারকে, সেটাও জানায়নি পাকিস্তান।

Pakistan is tight-lipped about Kulbhushan Jadhav's whereabouts: MEA
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 13, 2017 1:46 pm
  • Updated:October 9, 2019 7:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুলভূষণ যাদব সম্পর্কে কোনও তথ্য ভারতকে জানায়নি পাকিস্তান। তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হলে সেটাকে ‘হত্যা’ বলেই মনে করা হবে। এভাবেই ফের একবার কড়া হুঁশিয়ারি দিল বিদেশমন্ত্রক। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘কুলভূষণ যাদব কোথায় রয়েছেন? কেমন আছেন? সে ব্যাপারে পাক সরকার আমাদের এখনও কিছু জানায়নি। নিয়মবিরুদ্ধ ভাবেই তাঁকে আটক করেছে পাকিস্তান। কুলভূষণের সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।’

[”টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য ধোনি আর উপযুক্ত নয়”]

এর পরেই বাগলে জানিয়েছেন পাকিস্তান হাই কমিশনারকে ইতিমধ্যে সমন জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘বেআইনিভাবে কুলভূষণকে আটকে রাখা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়াতেও স্বচ্ছতার অভাব আছে। পাকিস্তানের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। এরপরেও যদি কুলভূষণের ফাঁসি দেওয়া হয়, তাহলে সেটা খুন বলেই ধরে নেওয়া হবে।’ তবে তাঁর এই মন্তব্যের পরেই পাকিস্তানের সেনা অফিসারদের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কুলভূষণের ফাঁসির সাজা রদ করা হবে না।

Advertisement

[‘আজাদি’ চাইলে কাশ্মীর ছাড়ো, জওয়ান নিগ্রহের প্রতিবাদে গম্ভীর]

এদিন বাগলেও আরও বলেন, ‘কুলভূষণের শুনানি আইন মেনে হয়নি। এই সাজাটি সঠিক নয়। চারিদিকে যে সমস্ত জল্পনা ছড়াচ্ছে, আমরা সেদিকে কান দিতে চাই না। যাদব ইরানে নিয়ম মেনেই ব্যবসা করছিল। গত বছর ইরান সরকারকে গোটা বিষয়ে জানানো হয়েছিল। আমরা জানতে পেরেছি যাদবের কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট ছিল। প্রশ্ন কেউ যদি নাশকত মূলক কাজ করার জন্যই গিয়েই থাকে, তাহলে তাঁর কাছে আসল পাসপোর্ট কোথা থেকে আসবে?’

[চন্দ্রিমাকে মন্ত্রিসভায় আনার ইঙ্গিত, বাম-বিজেপিকে কটাক্ষ মমতার]

কয়েকদিন আগেই প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদবকে বালোচিস্তানে চরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। মৃত্যুদণ্ডের খবর পাওয়া মাত্র ভারতের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। কোনও আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন না মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ভারতের। পাশাপাশি এ ঘটনাকে সুপরিকল্পিত হত্যা বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। এরপরে বেশ কিছু পাক বন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল ভারতের। কিন্তু কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের পাল্টা হিসেবে সে প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। ডেকে পাঠানো হয় পাক রাষ্ট্রদূত আবদুল বসিতকে। তাঁর হাতেও তুলে দেওয়া হয় প্রতিবাদ পত্র। এছাড়াও পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তে দেশ জুড়ে শুরু হয় প্রবল প্রতিবাদ।

[৩৩ বছর আগে আজকের দিনেই সিয়াচেনের দখল নিয়েছিল ভারত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement