সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরি যুবকদের উস্কানি দিতে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিচ্ছে পাকিস্তান। আর সে কারণেই বিক্ষোভ, পুলিশ-সেনার উদ্দেশে পাথর ছোঁড়া এবং তাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে কাশ্মীরি যুবকরা। এমনটাই অভিযোগ করেছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডাইরেক্টর জেনারেল এস পি ভায়িদ।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর উপত্যকা-সহ গোটা দেশে শান্তি বজায় থাকুক এটা অনেকেই চায় না। যখনই কোথাও নিরাপত্তারক্ষী ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে, তখনই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কাশ্মীরি যুবকদের সেখানে যেতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁদের পাথর ছোঁড়ার নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে জঙ্গিরা সহজেই পালিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে বার্তাগুলি পাঠানো হচ্ছে। আমরা জানতে পেরেছি ওই অ্যাকাউন্টগুলির বেশ কয়েকটি পাকিস্তান থেকে চালনা করা হচ্ছে।’ এই কারণে বারবার জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য পরিকল্পনা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন নিরাপত্তাবাহিনী। এই প্রসঙ্গে ভায়িদ বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, সংঘর্ষের সময় সেনা জওয়ানরা কোনও গাড়ি এবং ঘরের পিছনে লুকিয়েছে। আর সেখানেই কাশ্মীরি যুবকরা চলে আসছে। তাদের কিন্তু প্রাণের কোনও ভয় নেই। কিন্তু জঙ্গি নিধনে সেনাকে তো গুলি চালাতে হবে। আর গুলি মানুষ বা জঙ্গির মধ্যে কোনও ভেদাভেদ দেখে না।’
তবে এই অবস্থা সামাল দিতে ইতিমধ্যে বারবার পরিকল্পনা বদলাতে বাধ্য হয়েছে সেনা। পাশাপাশি কাশ্মীরি যুবকদেরও বোঝানোর চেষ্টা চলছে, যাতে তারা মিথ্যে প্ররোচনায় পা না দেয়। এদিন ভায়িদও জানান, ‘আমি তরুণ প্রজন্মকে বলতে চাই কোথাও সংঘর্ষের খবর পেলে বাড়িতে থাক, ওই জায়গায় যেও না। তাদেরকে বুঝতে হবে রাজনৈতিক অভিসন্ধি মেটাতেও কাশ্মিরী যুবকদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এদের মূল লক্ষ্যই হল উপত্যকায় অশান্তি সৃষ্টি করা।’
কয়েকদিন আগেই বদগাঁ-তে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। এছাড়া আহত হয়েছিলেন আরও ১৭ জন। এরা প্রত্যেকেই নিরাপত্তারক্ষীদের উদ্দেশে লাগাতার পাথর ছুঁড়ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.