Advertisement
Advertisement

Breaking News

ট্রাম্পের চোখারাঙানির জের, হাফিজের জঙ্গি সংগঠন ফের নিষিদ্ধ পাকিস্তানে

জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সাহায্য করলে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা।

Pakistan government blacklists JUD,FIF
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 7, 2018 4:02 am
  • Updated:January 7, 2018 4:02 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে হুঁশিয়ারি। তারপর অর্থসাহায্য বন্ধ। তার জেরে এবার দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল পাকিস্তান। প্রায় ৭২টি সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে আছে হাফিজ সইদের জামাত-উদ-দাওয়া।

আধ্যাত্মিক গুরুকে গোপনে বিয়ে করলেন ইমরান খান! ]

Advertisement

মুম্বই হামলার মূলচক্রীকে নিয়ে কার্যত চোর-পুলিশ খেলায় নেমেছিল পাকিস্তান। ভারত-মার্কিন চাপের মুখে পড়েই প্রথমে হাফিজকে গৃহবন্দি করে। পরে তাকে আবার ছেড়েও দেওয়া হয়। আদালতে তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ না মেলায় মুক্তি পেয়ে যায় কুখ্যাত এই জঙ্গি। যার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল ভারত। সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তান যে বস্তুত বিশ্বের চোখে ধুলো দিচ্ছে তা আর গোপন ছিল না। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, চিনা ও মার্কিন সহায়তার জেরেই পাকিস্তানের ডোন্ট কেয়ার মনোভাব জারি ছিল। নতুন বছরের গোড়াতেই অবশ্য তাতে ধাক্কা লাগে। সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান ব্যর্থ বলে তীব্র সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানান, বছরের বছর পাকিস্তানকে সন্ত্রাস রুখতে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। তার একদিন পরেই ঘোষণা করে জানিয়ে দেওয়া হয়, এরপর পাকিস্তানকে নিরাপত্তার নামে আর কোনও টাকা দেওয়া হবে না। এরপরই সন্ত্রাস দমনে কোমর বেঁধে নামল পাক মুলুক। হাফিজের সংগঠন-সহ প্রায় ৭২টি জঙ্গি সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

[ আসন্ন নির্বাচন, বাংলাদেশে জোরাল হিন্দুদের সুরক্ষার দাবি ]

জামাত-উদ-দাওয়া, ফালহা-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশনের মতো বেশ কিছু কুখ্যাত জঙ্গিসংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সংগঠনগুলিকে কোনওরকম সহায়তা এবং অর্থসাহায্য করাও বেআইনি। যে সংগঠনগুলি তলে তলে নাশকতামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেগুলিরই কার্যকলাপে রাশ টানা হল। এরকমই এক সংগঠনের ব্যানার টাঙানোর জন্য ইসলামাবাদে এফআইআরও দায়ের হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন অর্থের একাংশ এই জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতেই চলে যেত। দেশের নিরাপত্তার নামে এই অর্থ লুট কুরত তারা। উলটে নাশকতামূলক কাজ চালাত সীমান্তে। কিন্তু সে ভাঁড়ারে টান পড়ার ফলেই সংগঠনগুলির কাজ লাটে উঠেছে। পাশাপাশি ট্রাম্পের চোখারাঙানিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যেভাবে পাকিস্তানের মুখ পুড়েছে, তাতে এই ধরনের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোনও গতি ছিল না। যদি পাক প্রধানমন্ত্রী মার্কিন সাহায্য বন্ধ হওয়ার ঘটনাকে সেরকম পাত্তা দিতে চাননি। কিন্তু বাইরে একরকম দেখালেও, ভিতরে যে পাকিস্তান সন্ত্রস্ত তা সে দেশের পদক্ষেপেই স্পষ্ট।

তাইল্যান্ডে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার হিড়িক, ভাইরাল ভিডিও ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement