সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করল ভারত। নয়াদিল্লির সাফ কথা, বিশ্বের সব দেশ জানে যে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেয় পাকিস্তান (Pakistan)। রাষ্ট্রসংঘের তালিকায় থাকা জঙ্গিদের বেশিরভাগই ওই দেশে রয়েছে। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি স্নেহা দুবে কড়া ভাষায় বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অঙ্গ। এক্ষুনি অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে দিক পাকিস্তান’।
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ হওয়া থেকে কাশ্মীরের ‘পাকপন্থী’ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যু নিয়েও সরব হন তিনি। তারপরই, রাষ্ট্রসংঘে জবাব দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেন ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন যে, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এনিয়ে কোনও আলোচনা কাম্য নয়। বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের অন্যতম পৃষ্টপোষক হচ্ছে পাকিস্তান। স্নেহা বলেন, “পাকিস্তান ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল। আজও পাক নেতারা তাকে শহিদের মর্যাদা দেয়। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তালিকায় থাক জঙ্গিদের বেশিরভাগই ওই দেশে রয়েছে।”
আগেও একাধিকবার রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। এই কাজে পড়শি দেশটিকে মদত দিয়েছে চিন। তবে সবসময়ই ইসলামাবাদের চেষ্টা বিফল হয়েছে। এবারও কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে কার্যত বিপাকে পড়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কারণ, সন্ত্রাসবাদ ইস্যু বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের রেকর্ড ভাল নয়। আফগানিস্তানে তালিবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্ককে যে ইসলামাবাদ মদত দিচ্ছে তা সবার জানা। আর সেসব প্রসঙ্গ তুলে ধরে ভারতের প্রতিনিধি স্নেহা বলেন, “এর আগেও আন্তর্জাতিক মঞ্চটিকে ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে পাকিস্তান। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়। আজ পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ, জৈন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিপীড়িত। কিন্তু ভারত একটি বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক দেশ। এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে প্রেসিডেন্ট তথা প্রধানমন্ত্রী পদেও বসার নজির রয়েছে।”
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। তবে একাধিক সম্মুখ সমরে লজ্জাজনক হারের পর ছায়াযুদ্ধ শুরু করেছে পড়শি দেশটি। সূত্রের খবর, এবার ভারতে ‘অর্থনৈতিক সন্ত্রাস’ চালানোর ছক কষছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। তালিবানকে (Taliban) কাজে লাগিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়িয়ে তুলবে পাকিস্তান বলে আশঙ্কা করছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সদ্য আফগানিস্তান জয় নিয়ে তালিবানকে অভিনন্দন জানিয়েছে জেহাদি সংগঠন আল কায়দা। শুধু তাই নয়, ‘ইসলামের শত্রু’দের হাত থেকে কাশ্মীরকে মুক্ত করার জন্য তালিবানকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছিল জেহাদি সংগঠনটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.