Advertisement
Advertisement
Pakistan Power Cut

জ্বালানির অভাবে বিকল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, অন্ধকারে ডুবে পাকিস্তান

রাত দশটা পর্যন্ত বন্ধ বিদ্যুৎ পরিষেবা।

Pakistan faces huge power cut as national grid breaks down | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:January 23, 2023 4:24 pm
  • Updated:January 23, 2023 4:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকাই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ল পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা। জানা গিয়েছে, সোমবার সকালের দিকে বিকল হয়ে পড়ে সেদেশের প্রধান বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ফলে পাকিস্তানের (Pakistan) বড় অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পাক বিদ্যুৎমন্ত্রী খুররাম দাস্তগির জানান, আচমকা গ্রিড বিকল হয়ে যেতেই বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটেছে। স্থানীয় সময় রাত দশটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার এহেন বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ল পাকিস্তান।

সোমবার সকালেই বিকল হয়ে যায় পাকিস্তানের দক্ষিণে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি। আচমকা বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চাপ সৃষ্টি হয় গ্রিডের উপর। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অভাবে খারাপ হয়ে যায় গোটা গ্রিড (Pakistan Power Grid)। তার জেরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে পাকিস্তানের বিরাট অংশ। বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে পরিষেবা ফেরানোর কাজ শুরু হয়। ঘটনার প্রায় ছ’ ঘন্টা পরে হাসপাতাল, স্কুলের মতো কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ফিরেছে। তবে এখনও অন্ধকারে ডুবে একাধিক এলাকা। রাত দশটার আগে সেখানে বিদ্যুৎ ফিরবে না বলেই জানিয়েছেন পাক বিদ্যুৎমন্ত্রী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের মন্দিরে হামলা অস্ট্রেলিয়ায়, এবার ইসকনের দেওয়ালে খলিস্তানপন্থী স্লোগান]

জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির মেরামত করা প্রয়োজন। কিন্তু ঋণের ভারে ধুঁকতে থাকা পাক প্রশাসনের তরফে মেরামতি করা সম্ভব হচ্ছে না। আর্থিক দুরবস্থার কারণে পর্যাপ্ত জ্বালানিও কিনতে পারছে না পাক সরকার। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ফল ভুগতে হচ্ছে জনসাধারণকে। বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানীয় জলের সমস্যায় পড়েন তাঁরা। কারণ বিদ্যুতের অভাবে পানীয় জলের যন্ত্র বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাহত হয় টেলিফোন পরিষেবাও।

পর্যাপ্ত জ্বালানির অভাবে বিদ্যুতের ব্যবহারে কাটছাঁট করার নিদান দিয়েছিল পাক সরকার। সরকারি অফিসারদের জন্য বরাদ্দ করা বিদ্যুতের পরিমাণ কমানো হয়। আগের তুলনায় চল্লিশ শতাংশ কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় সরকারি অফিসগুলিতে। আধিকারিকদের জন্য গাড়ি বা এসি কেনা বন্ধ হয়। প্রতি শুক্রবার বাধ্যতামূলক ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এত কিছু করেও দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়ানো যাচ্ছে না।

[আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত একমাত্র অন্তঃসত্ত্বারই, ৩২ সপ্তাহ পরও গর্ভপাতে অনুমতি বম্বে হাই কোর্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement