সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনেছে ভারত৷ রাজধানী নয়াদিল্লিতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে এই ব্রহ্মাস্ত্র তুলে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ এমত পরিস্থিতিতে বেশ চাপেই রয়েছে পাকিস্তান৷ যার বহিঃপ্রকাশ ঘটল, পাক বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে৷ ভারতের হাতে আসা এই এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল ইসলামাবাদ। জানাল, এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হতে পারে৷
[দূতাবাসেই মৃত্যু হয় খাশোগ্গির, অবশেষে স্বীকারোক্তি সৌদি আরবের]
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের হাতে আসা এস-৪০০ ডিফেন্স সিস্টেমকে যথেষ্ট ভায় পাচ্ছে চিন ও পাকিস্তান৷ এর নাকি যথেষ্ট কারণও রয়েছে৷ তাঁদের মতে, এস-৪০০র রূপে কার্যত একটি অভেদ্য বর্ম হাতে এসেছে নয়াদিল্লির৷ পাশাপাশি, এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার মধ্যে চলে আসছে চিন ও পাকিস্তানের অনেকটা অংশ৷ সূত্রের খবর, এই মিসাইলের পাল্লার মধ্যে রয়েছে পাক বায়ুসেনার প্রধান ঘাঁটি এবং চিনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তর৷ ফলে ভারতের হাতে এই ক্ষেপণাস্ত্র আসায় তাঁদের পক্ষে নয়াদিল্লির সঙ্গে এঁটে ওঠা কষ্টকর বলেই চিন্তায় রয়েছে রাওয়ালপিণ্ডি ও বেজিং৷ কারণ, রাশিয়া এবং চিন ছাড়া একমাত্র ভারতই একমাত্র দেশ যাঁর অস্ত্রাগারের শোভা মজুক থাকছে এই অত্যাধুনিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম৷ ভারত-রাশিয়ার মধ়্যে হওয়া ৪০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সম্পর্কে পাক বিদেশমন্ত্রক জানায়, ”ব্যালেস্টিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের অংশ হিসাবে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় করেছে ভারত৷ তবে এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হবে৷” মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অবজ্ঞা করেই মস্কোর কাছ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে নয়াদিল্লি৷
[ভাঙল অচলায়তন, প্রথমবার সৌদিতে ব্যাংকের শীর্ষপদে এক মহিলা]
কী এই এস-৪০০? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শত্রুপক্ষের পরমাণু বোমা বহনকারী যুদ্ধবিমান, স্টেলথ ফাইটার জেট, গোয়েন্দা বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন শুধু শনাক্তই করতে পারে না, ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় সেগুলো ধ্বংসও করতে পারে। এ ধরনের অস্ত্র যুক্ত হলে ভারতের সামরিক বাহিনী আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। এস-৪০০ ‘ট্রায়াম্ফ’ ক্ষেপণাস্ত্ররোধী ব্যবস্থাটি ৪০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অন্তত ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতে সক্ষম৷ একইসঙ্গে তিন ডজন লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংসও করতে পারবে৷ অন্য ব়্যাডারে প্রায় ধরাই পড়ে না, এমন ‘স্টিল্থ’ এয়ারক্র্যাফটও এই সিস্টেমের ব়্যাডারে ধরা পড়ে যাবে৷ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্র ও সরকারি ভবনগুলি এর ফলে নিরাপদ হবে৷ পাক ও চিনা পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের বিপদ থেকেও অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকবে ভারত৷ ২০০৭ সাল থেকেই এই অস্ত্র ব্যবহার করছে রুশ সেনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় রুশ সেনাঘাঁটির সুরক্ষায় মোতায়েন রয়েছে এস-৪০০ সিস্টেম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.