সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসা থেকে আটকাতে আসরে নেমে পড়ল সে দেশের দুই প্রধান বিরোধী দল। প্রয়োজনে জোট করে যৌথ প্রার্থী দিয়ে ইমরান খানকে সরকার গঠন থেকে রুখতে চাইছে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল(এন) এবং বিলাবল ভুট্টোর পিপিপি।
একসময় তাঁরা ছিল দুই মেরুর রাজনৈতিক শক্তি। পাকিস্তানের ৭১ বছরের ইতিহাসে বেশিরভাগ সময়ই পারস্পারিক বিরোধিতা করে কাটিয়েছে দুই দল, কখনও একদল ক্ষমতায় থাকলে অপর দল থাকে প্রধান বিরোধীর আসনে। কিন্তু তৃতীয় শক্তির উত্থানের পরই এক সারিতে চলে এল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং আরেক দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হওয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনেজির ভুট্টোর দল। ঠিক যেমন এদেশে হল কর্ণাটকে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে রুখতে সপা-বসপার এক ছাতার তলায় আসা হোক কিংবা এরাজ্যে মমতাকে রুখতে বাম-কংগ্রেসের একসঙ্গে লড়াই। ভারতের ইতিহাসে এই ধরনের জোট নতুন কিছু না হলেও পাকিস্তানে এটা বিরলতম ঘটনা। কারণ ৭১ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস মূলত দুই দলের টক্কর দেখে এসেছে পাকিস্তান, তৃতীয় কোনও শক্তির উদয় হয়নি। তাই ইমরানের উত্থান মিলিয়ে দিল পিপিপি এবং পিএমএলএনকে।
বৃহস্পতিবার যৌথ বৈঠকের পর দুই দলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে ইমরান খানকে সরকার গড়া থেকে রুখতে তাঁরা যৌথ কো-অর্ডিনেট কমিটি তৈরি করা হবে। কো-অর্ডিনেট কমিটির তরফে ইমরানের বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করাবে বিরোধী জোট। পাকিস্তান পিপলস পার্টি এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে যে নির্বাচন হয়েছে তা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক, এই অগণতান্ত্রিক সরকার যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্যই জোট গঠনের সিদ্ধান্ত। গত ২৫ জুলাই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে মোট ১১৫টি আসনে জয়ী হয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান-তেহরিক-এ-ইনসাফ। ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে ইমরানের দলের প্রয়োজন আরও ২২ জন সাংসদের সমর্থন। অন্যদিকে, নওয়াজ শরিফের পিএমএলএন জিতেছে ৬৪টি আসনে, অন্যদিকে বিলাবল ভুট্টোর পিপিপি জিতেছে ৪৩টি আসনে। দুই দলের পাশাপাশি অন্য ছোট দলকেও মহাজোটে টানার চেষ্টা করছেন বিরোধী নেতারা। যদিও, ইমরান খান সরকার গড়ার ব্যপারে আশাবাদী। আগামী ১১ আগস্ট শপথ নেওয়ার কথা তাঁর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.