Advertisement
Advertisement

সংঘর্ষে খতম ‘আইএস জঙ্গি’ নিরপরাধ! পাক প্রশাসনের দাবিতে তুঙ্গে বিতর্ক

ফের কাঠগড়ায় ইমরান প্রশাসন৷

 Pakistan calls dead terrorists innocent
Published by: Tanujit Das
  • Posted:January 21, 2019 7:49 pm
  • Updated:January 21, 2019 7:49 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শনিবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে খতম হয়েছে শীর্ষ আইএস কম্যান্ডার জিশান৷ আইএস সন্দেহে একই সঙ্গে খতম হয়েছে জিশানের বন্ধু খলিল ও তার পরিবারের দুই মহিলা সদস্য৷ এই ঘটনার ঠিক একদিন পরেই মৃতদের মধ্যে তিনজনকে নিরপরাধ দাবি করলেন পাঞ্জাব প্রদেশের আইনমন্ত্রী বাশারত রাজা৷ এমনকী, ওই জঙ্গিদমন অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ১৬ জন তদন্তকারী অফিসারের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করল পাঞ্জাব প্রশাসন৷

[মেক্সিকোর গ্যাসের পাইপে বিস্ফোরণ, লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা ]

Advertisement

রবিবার পাঞ্জাব প্রদেশের আইনমন্ত্রী জানান, মৃতদের মধ্যে কেবলমাত্র জিশানই আইএস জঙ্গি৷ খলিল ও বাকি দুই মহিলা তার প্রতিবেশী৷ তাদের সঙ্গে আইএসের কোনও যোগ নেই৷ জিশান যে আইএসের শীর্ষ কম্যান্ডার, সেই বিষয়েও কিছু জানত না খলিল ও তার পরিবারের সদস্যরা৷ পাশাপাশি মন্ত্রী বাশারত রাজা অভিযোগ করেন, জঙ্গিদমন অভিযানে নিযুক্ত অফিসাররা কর্তব্যে গাফিলতি করেছে৷ আইএস জঙ্গি জিশানকে খতম করতে গিয়ে নিরপরাধ তিনজন মানুষকে খুন করেছে তারা৷ জানা গিয়েছে, এই অভিযোগে ওই অভিযানে যুক্ত জঙ্গিদমন শাখার ১৬ জন অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যে অফিসার তাঁকেও সাসপেন্ড করেছে পাঞ্জার প্রদেশের সরকার৷

[শিক্ষা হয়নি দুর্ঘটনায়, সিট বেল্ট ছাড়াই চালকের আসনে প্রিন্স ফিলিপ  ]

গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শনিবার পাঞ্জাব প্রদেশের শাহিওয়াল জেলায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম বিভাগের গোয়েন্দারা৷ ওই অভিযানেই খতম হয় আইএস কম্যান্ডার জিশান, তার বন্ধু খলিল ও খলিলের পরিবারের দুই মহিলা সদস্য৷ গুরুতর চোট পায় বছর ১৩-র এক কিশোর৷ পুলিশ জানিয়েছিল, একটি গাড়ি করে খলিল ও তার পরিবারের সঙ্গে লাহোর থেকে বুরেওয়ালার দিকে যাচ্ছিল জিশান৷ মাঝপথে তাদের গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন পুলিশ ও জঙ্গিদমন শাখার অফিসাররা৷ কিন্তু প্রথমে গুলি চালায় জিশান৷ পালটা উত্তর দেয় পুলিশ৷ গুলিতে মৃত্যু হয় চারজনের৷ শনিবার গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আফগানিস্তানে আত্মগোপন করে থাকা আইএস শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জিশানের৷ তাদের কথাতেই পাঞ্জাব প্রদেশ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই আইএসের রিক্রুটার হিসাবে কাজ করত সে৷ এমনকী, পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর তিন শীর্ষ কর্তাকে খুনেরও অভিযোগ রয়েছে জিশানের বিরুদ্ধে৷ দীর্ঘদিন ধরেই তার খোঁজ করছিলেন গোয়েন্দারা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement