Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pakistan

ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি, বিলাসী পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান

তলানিতে ঠেকেছে ইসলামাবাদের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার।

Pakistan bans imports of all non-essential luxury goods | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 21, 2022 10:40 am
  • Updated:May 23, 2022 8:29 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার প্রায় শূন্য। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে সমস্ত ‘অপ্রয়োজনীয়’ বিলাসী পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান (Pakistan)।

[আরও পড়ুন: তরুণীকে উত্যক্ত করতে পুরুষাঙ্গ প্রদর্শন! বিস্ফোরক অভিযোগ এলন মাস্কের বিরুদ্ধে]

করোনা মহামারী, অপশাসন ও ঋণের ভারে পাকিস্তানের অর্থনীতি কার্যত হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছে। জোর ধাক্কা খেয়েছে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি। ফলে তলানিতে ঠেকেছে বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার। ফলে খাবার থেকে ওষুধ সবকিছুরই দাম ভয়ানক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে খাদ্য ও ওষুধের মতো জরুরি পণ্যের জোগান বজায় রাখতে সমস্ত ‘অপ্রয়োজনীয়’ বিলাসী পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই পদক্ষেপের কথা জানান পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম ঔরঙ্গজেব।

Advertisement

বিগত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের অর্থনীতি ক্রমেই নিম্নমুখী। এরমধ্যে চরম রাজনৈতিক ডামাডোলে ক্ষমতা হারায় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ। কিন্তু তাতেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। বরং রেকর্ড গড়ে ডলারের তুলনায় দেশটির মুদ্রার দামে পতন হয়েছে। শুক্রবার প্রতি ডলার কিনতে ব্যয় হয়েছে ২০০ পাকিস্তানি রুপি।

এহেন অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য অপরিহার্য নয় এমন বিলাসী পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। আমদানি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা উল্লেখযোগ্য পণ্যগুলি হচ্ছে গাড়ি, মোবাইল, ব্যক্তিগত অস্ত্র ও গোলাবারুদ, বিলাসবহুল ম্যাট্রেস ও স্লিপিংব্যাগ, বিলাসী চামড়াজাত পোশাক ইত্যাদি। ফেডারেল মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, দুই মাস পর এ নিষেধাজ্ঞা আবার পর্যালোচনা করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক টুইটে লেখেন, “বিলাসী জিনিসপত্র আমদানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে। কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা একসাথে সমস্ত চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে সক্ষম হব।” পাক ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউর মতে, আমদানি নিষেধাজ্ঞার কারণে মাসিক আমদানি বিল ২৮০ মিলিয়ন থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কম হবে।

[আরও পড়ুন: পাম তেল রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলল ইন্দোনেশিয়া, স্বস্তি ফিরবে হেঁশেলে!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement