Advertisement
Advertisement
পাকিস্তান

চাপের মুখের নতিস্বীকার, ১১টি জঙ্গিগোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান

জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ওই ১১টি সংগঠনের।

Pakistan bans 11 outfits linked to three Jehadi outfits including JeM

ছবি: প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 13, 2019 11:10 am
  • Updated:May 13, 2019 11:10 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাবিটা অনেকদিন ধরেই উঠছিল। শেষপর্যন্ত আন্তর্জাতিক চাপের কাছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছে পাকিস্তান। এবার ইমরান খান সরকার ১১টি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। পাকিস্তানের দুই মূল সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদ ও মাসুদ আজহারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ওই ১১টি সংগঠনের।

[ফের অবৈধ যাত্রী নিয়ে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি, নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগ বাংলাদেশি]

Advertisement

পাক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের জামাত-উদ-দাওয়া ও দাতব্য সংস্থা ফলাহ-ই-ইনসানিয়ত ফাউন্ডেশন ছাড়াও মাসুদ আজহারের জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে ওই ১১টি সংগঠনের যোগাযোগ রয়েছে। মাসুদ ও হাফিজের সঙ্গে ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর সম্পর্ক থাকার জন্য সেগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের চাপের মুখে পড়ে সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয়, মাসুদের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদকেও নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। এর আগে হাফিজের আরও দুই জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়। এই জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। তারা আশাপ্রকাশ করেছে, ভবিষ্যতে পাকিস্তান দেশের সমস্ত জঙ্গিগোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে ইমরান সরকার।

উল্লেখ্য, সৃষ্টিকর্তাকেই ধ্বংস করেছিল ‘দানব’ ফ্র্যাঙ্কেস্টাইন৷ ঠিক একইভাবে পাকিস্তানকে রক্তাক্ত করছে আইএসআইয়ের তৈরি জেহাদিরা৷ রবিবার পাকিস্তানের একটি পাঁচতারা হোটেলে হামলা চালিয়ে পাঁচ নিরীহ মানুষকে হত্যা করে জঙ্গিরা৷ এর আগে গত বুধবার  লাহোরে একটি সুফি ধর্মস্থলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা৷ ওই হামলায় মৃত্যু হয় ছ’জনের৷ আহত হন অনেকেই৷ উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সিন্ধ প্রদেশের বিখ্যাত লাল শাহবাজ কলন্দর নামের সুফি দরগায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৮০ জন নিরীহ মানুষ। তারপরই অভিযানে প্রায় ১০০ জঙ্গিকে নিকেশ করেছিল পাক সেনা৷ বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতকে সন্ত্রাসে জর্জরিত করতে যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে তৈরি করেছিল পাকিস্তান, তারাই এখন পাক সেনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে৷ ২০০৭ সালে ইসলামাবাদের লাল মসজিদে যেভাবে জেহাদিরা পাক সেনার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়েছিল, তাতেই রাওয়ালপিণ্ডির পরিস্থিতি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷

[মধুচন্দ্রিমায় মর্মান্তিক ঘটনা! শ্রীলঙ্কার হোটেলে খাবার খেয়ে মৃত্যু ভারতীয় তরুণীর]    

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement