Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pak Army

দেশের আর্থিক অবস্থা সামলাতে চাষে নামছে পাক সেনা!

কৃষিকাজ ছাড়া অন্য কাজে জমি ব্যবহার করতে পারবে না পাক সেনা।

Pakistan Army transforms into farmers to handle finalcial crisis of the country। Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:January 27, 2024 8:44 am
  • Updated:January 27, 2024 8:55 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্থনৈতিকভাবে ধুঁকতে থাকা দেশের হাল ফেরাতে এবার চাষ করতে নামছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। যে হাতে তারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ভারতকে লক্ষ্য করে গোলা ছোড়ে, সেই হাতেই জমিতে লাঙল দেবে, বীজ বপন করবে, ফসল তুলবে। পাক মিডিয়া জানাচ্ছে, পাঞ্জাব এবং সিন্ধ প্রদেশে কর্পোরেট ফার্মিং শুরু করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এর জন্য, সম্প্রতি ‘মেসার্স গ্রিন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের চুক্তি করেছে পাক সেনা। 

জানা গিয়েছে,পাকিস্তানের অর্থনীতির হাল ফেরাতে যে ‘স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট ফেসিলিটেশন কাউন্সিল’ তৈরি করা হয়েছে, সেই কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানেই এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রকল্পের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসকরা প্রায় ৫২ হাজার ৭১৩ একর অনুর্বর জমি চিহ্নিত করেছেন। ২০ বছরের জন্য ওই জমি সেনাবাহিনীকে লিজ দেওয়া হবে। তা দেখা-শোনা থেকে শুরু করে সমস্ত নিয়ন্ত্রণ থাকবে সেনার হাতে, তবে জমির মালিকানা সরকারের কাছেই থাকবে। গ্রিন করপোরেট ইনিশিয়েটিভ লিমিটেড, লাভের ২০ শতাংশ স্থানীয় এলাকায় গবেষণা এবং উন্নয়নে ব্যয় করবে। ৪০ শতাংশ সরাসরি যাবে সরকারের ঘরে। লাভের অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ স্থানীয় পরিকাঠামো, সেচ, সৌরচালিত জল সরবরাহ প্রকল্প, স্কুল, হাসপাতালের মতো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে ব্যয় করা হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হামাসের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা বহু মহিলা! গর্ভপাত নিয়ে কী বলছে ইজরায়েল?]

তবে কৃষিকাজ ছাড়া অন্য কাজে এই জমি ব্যবহার করতে পারবে না পাক সেনা। চাষের পাশাপাশি ওই জমিতে কোনও ব্যবসা বা অন্য কার্যকলাপের অনুমতি নেই। জমি অধিগ্রহণের আগে তা খুঁটিয়ে জরিপ করা হবে। জমিটি কোনও সংরক্ষিত জমি কি না কিংবা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্থান, জনবসতিপূর্ণ এলাকা, ম্যানগ্রোভ অরণ্য, বনভূমি, চারণভূমি, কবরস্থান, ঐতিহাসিক জলপথের মধ্যে পড়ে কি না, তা দেখা হবে। স্থানীয় জনগণ যাতে কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই প্রকল্পের জন্য একটি পরিচালন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য এই বোর্ডের সদস্যরাই সব সিদ্ধান্ত নেবেন।

কয়েক বছর ধরেই একটানা অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছে পাকিস্তান। পাকিস্তানি টাকার দাম একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে টান পড়েছে। আর এর সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক সংকট। এই জোড়া সংকটে বেহাল দশা পাকিস্তানের। তা সামাল দিতে এই নয়া উদ্যোগ গ্রহণ করছে প্রতিবেশী দেশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement