সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হালুয়া, পুরি নয়। যাত্রীদের প্রাতরাশের জন্য থালা ভরতি চিজ-অমলেট-সসেজ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিমানসেবিকারা। আর তা দেখেই রেগে আগুন যাত্রীরা। এ কী কাণ্ড! দেশি এয়ারলাইনসে বিদেশি খাবার কেন? বিমানসেবিকাদের উপর বেজায় খেপে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের কয়েকজন যাত্রী। যদিও যাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টায় এতটুকুও খামতি রাখেননি পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের কর্মীরা। কিন্তু তাতে কী? কারও কথা শুনতে রাজিই নন তাঁরা।
বিমানসংস্থা সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতোই এদিনও ধরাবাধা মেনু অর্থাৎ চিজ, অমলেট, সসেজ, বিনস – এসবই পরিবেশন করা হচ্ছিল যাত্রীদের। আর তা দেখেই বেঁকে বসেন কয়েকজন। কারণ, তাঁদের দাবি প্রাতরাশে তাঁদের চাই পরোটা, হালুয়া-পুরি। কিন্তু বিমানে তা মিলবে কী করে? তা নিয়েই বিমানকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন যাত্রী। তাঁদের শান্ত করতে কয়েকজন বিমানসেবিকা বোঝানোর চেষ্টা করেন, এইসব খাবার পুষ্টিকর, শরীরের জন্য উপকারী। কেউ বলেন, “খেয়ে দেখুন, একেবারে বাড়ির স্বাদ পাবেন।” কিন্তু কে কার কথা শোনে! বিমানসেবিকাদের কথা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন যাত্রীরা।
এতেই শেষ নয়। এরপর পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে ওই খাবারের ছবি ছড়িয়ে দেন কয়েকজন যাত্রী। তারপরেই কমেন্ট-পালটা কমেন্টে ভরে ওঠে টুইটারের পেজ। যাত্রীদের উসকে দিতে কেউ লেখেন, ‘বাড়ির স্বাদ’ বলতে বিমানসেবিকারা ঠিক কী বলতে চাইছেন? তাঁদের যুক্তি, সসেজ আর যাই হোক, বাড়ির মায়ের হাতের রান্না নয়। কেউ আবার রাখঢাক না করেই বলেন, “আমরা পাকিস্তানি। কাজেই বাড়ির স্বাদ বলতে বুঝি তেলে ভাজা খাস্তা পরোটা, বা ডিমের কুসুমে গোলা পরোটা।”
হালুয়া-পুরি-পরোটার জায়গায় একেবারে পশ্চিম প্রাতরাশ ব্রেড-ওমলেট, এক অনাসৃষ্টি কাণ্ড! এভাবেই স্থানীয় মিডিয়ার কাছে ব্রেকফাস্ট পরিবেশনের ঘটনা বর্ণনা করেন এক যাত্রী। তাঁর দাবি, “পাকিস্তানের এয়ারলাইনসের কর্মীদের দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া উচিত। ব্রিটিশ রুচিকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, যেটা একেবারেই অনুচিত।” এই ঘটনায় হতচকিত বিমানকর্মীরাও। আকাশপথে খাবার পরিবেশনের ঝড় সামলাতে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস এখন কী করে, সেটাই দেখার৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.