সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ড্রোন নজরদারি নিয়ে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এশিয়া। চিনা বায়ুসীমাতে ভারতীয় ড্রোনের ‘অনুপ্রবেশ’কে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্যের পর ২৪ ঘন্টাও কাটতে না কাটতেই ফের শিরোনামে ড্রোনের নজরদারি। এবার ঘটনাস্থল পাকিস্তান। পাক বায়ুসেনার প্রধান দেশের সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও বিদেশি ড্রোন দেখলেই গুলি করে সেটি ধ্বংস করে দিতে হবে। কোনও ব্যক্তিক্রম হবে না এই নির্দেশের। এমনকী, দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে ড্রোন বিক্রি করে এসেছে যে আমেরিকা, তাদের ড্রোন দেখলেও গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান মার্শাল সোহেল আমন।
পাক-আফগান সীমান্তে বেশ কিছু মার্কিন ড্রোন নিয়মিত নজরদারি চালায়। মূলত সেই ড্রোনগুলিকে উদ্দেশ্য করেই পাক বায়ুসেনা প্রধানের এই হুঁশিয়ারি বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মার্শাল সোহেল বলেন, ‘পাকিস্তানের বায়ুসীমায় কোনও বিদেশি ড্রোনের অনুপ্রবেশ বরদাস্ত করা হবে না। বায়ুসেনাকে আমার নির্দেশ, এরকম ড্রোন দেখলেই গুলি চালান। এমনকী মার্কিন ড্রোন হলেও। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ কাউকে করতে দেওয়া হবে না।’ পাক সংবাদ মাধ্যম এই খবর জানিয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন ড্রোন তিন পাক জঙ্গিকে নিকেশ করার পরই ইসলামাবাদের এই নয়া ‘ফতোয়া’ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
২০০৪ থেকে আফগান-পাক সীমান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মার্কিন ড্রোন ঘোরাফেরা করে। আমেরিকা মনে করে, ওই সব অঞ্চলেই পাক জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে। যদিও পাকিস্তান বরাবরই এই দাবি অস্বীকার করে এসেছে। পালটা ইসলামাবাদের দাবি, অশান্তি সৃষ্টির জন্য বিদেশি শক্তি এভাবে বারবার পাক সীমান্তে ঢুকে পড়ে। যদিও পাক বায়ুসেনা প্রধানের এই নয়া নির্দেশের পিছনে অন্য আঁতাঁতও দেখছেন কেউ কেউ। আমেরিকা ছেড়ে পাকিস্তান এখন চিনের পরম বন্ধু হয়েছে উঠেছে। ইসলামাবাদের যত ড্রোন দরকার, সেই চাহিদা এখন বেজিংই মিটিয়ে দিচ্ছে। তাই আমেরিকাকে আর খুব বেশি প্রয়োজন নেই পাকিস্তানের। তার উপর সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে আমেরিকা যেভাবে বারবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াচ্ছে, তাতে খুব একটা সন্তুষ্ট নয় পাক সেনা। আর তার ফলেই এই নয়া নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.