সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের কোষাগার কার্যত গড়ের মাঠ। খাদ্য সামগ্রী, জ্বালানি থেকে শুরু করে জীবনদায়ী ওষুধ প্রায় সাধারণের নাগালের বাইরে। দেউলিয়া দেশটিতে সরকার চালানোর খরচটুকুও জোগাড় হচ্ছে বহু কষ্টে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ভিক্ষার ঝুলি মেলে ধরলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
পিটিআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্তালিনা জর্জিয়েভাকে ফোন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আবেদন জানান, এক বা দু’দিনের মধ্যে যেন রিলিফ প্যাকেজের কিছুটা টাকা দেওয়া হয়। বলে রাখা ভাল, পাকিস্তানের অর্থনীতিকে পথে ফেরাতে ২০১৯ সালে এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফেসিলিটি ঘোষণা করে আইএমএফ। এর অন্তর্গত বেশকিছু শর্তপূরণ করলে ১২০ কোটি ডলারের অতিরিক্ত মদত পাবে ইসলামাবাদ। তবে, এর জন্য অনেক শর্ত চাপিয়েছিল আইএমএফ। যা কম করার আবেদন করেছিল পাক প্রশাসন। কিন্তু তা খারিজ করে ঋণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিল আইএমএফ।
উল্লেখ্য, দুর্দশা বেড়েই চলেছে পাকিস্তানের। আকাশ ছুঁয়েছে দ্রব্যমূল্য। গত এক বছরে সেদেশের মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৩৭.৯৭ শতাংশ। পাকিস্তান (Pakistan) পিছনে ফেলে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকেও। এর মধ্যেই নতুন দুঃসংবাদ! আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার IMF-এর ঋণ পাওয়ার রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ইসলামাবাদের সংকট ভয়ংকর অবস্থায় পৌঁছেছে।
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ইমরান খান (Imran Khan) ও পাক সেনার মধ্যে চলতে থাকা টক্করে সেদেশে প্রায় গৃহযুদ্ধের আবহ। এবং তাদের বেঁধে দেওয়া শর্ত পূরণ না হওয়ায় প্রায় মুখ ফিরিয়েছে আইএমএফ। এহেন পরিস্থিতিতে শাহবাজ শরিফের সামনে ‘মুশকিল আসান’ হতে পারে একমাত্র ‘বন্ধু’ চিনই। আইএমএফের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনা যতই বেড়েছে ততই বেশি করে বেজিংয়ের মুখাপেক্ষী হওয়ার ‘প্ল্যান বি’-কেই আঁকড়ে ধরছে ইসলামাবাদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.