Advertisement
Advertisement
Pak economic crisis

চরমে আর্থিক সংকট পাকিস্তানে, কোপ সরকারি কর্মীদের বেতনে, রাশ নেতামন্ত্রীদের খরচেও

আপাতত IMF-এর দিকে তাকিয়ে পাক সরকার।

Pak economic crisis: 10% cut in govt employees' salary | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 25, 2023 7:33 pm
  • Updated:January 25, 2023 7:33 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান (Pakistan)। মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়ে সাধারণ মানুষের পরিস্থিতি শোচনীয়। অথচ নিরুপায় সরকারও। সরকার এতটাই আর্থিক সংকটে যে শেষপর্যন্ত সরকারি কর্মীদের বেতনেও কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Shahbaz Sharif) নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারি কমিটি (NAC) বুধবার জানিয়েছে, অর্থনীতির দুরবস্থার সঙ্গে লড়তে একাধিক পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মীদের বেতন কমানোটাও। সব মিলিয়ে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন কমানো হতে পারে সরকারি কর্মীদের বেতন। শুধু তাই নয়, সরকারি খরচেও রাশ টানতে চাইছে পাকিস্তান। শোনা যাচ্ছে, নেতামন্ত্রীদের খরচও ১৫ শতাংশ কমাতে বলা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চিনের কাছে জমি হারাচ্ছে ভারত, লাদাখের বহু পেট্রোলিং পয়েন্ট হাতছাড়া! রিপোর্ট পুলিশকর্তার]

উল্লেখ্য, মুদ্রাস্ফীতি (Inflation), নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে পাকিস্তানে। বেহাল দশা আমজনতার। রান্নার গ্যাস, ভোজ্য তেল অমিল ইসলামাবাদে। এবার আটার জন্য় হাহাকারও চোখে পড়ল সে দেশে। জানা গিয়েছে, ১৫ কেজির আটার বস্তার দাম ১৫০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫০ টাকা। দু’সপ্তাহের মধ্য়ে আটার দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। পাক সংবাদমাধ্যম ডন-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সে দেশে পাম তেল, সোয়াবিনের তেল ও সানফ্লাওয়ার তেলের জোগানে ঘাটনি দেখা দিয়েছে। মিলছে না রান্নার তেলও। ব্যবসায়ীদের কাছে মজুত তেলভাণ্ডারেও টান পড়বে শীঘ্রই। অথচ এগুলি সে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায় নাম রয়েছে এই তিন তেলের। আকাশছোঁয়া জ্বালানির দাম। এমনকী মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও মাঝেমাঝে ব্যাহত হচ্ছে। তারপরেও চাহিদামতো জোগানে ঘাটতি দেখা গিয়েছে। যার জেরে শাহবাজ শরিফের সরকারের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

[আরও পড়ুন: লখিমপুর খেরির মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপুত্রের জামিন, উত্তরপ্রদেশ-দিল্লিতে থাকায় নিষেধাজ্ঞা]

এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে পাকিস্তানের একমাত্র ভরসা IMF। গতবছরও মোটা অঙ্কের ঋণ দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার পাকিস্তানকে দুরবস্থা থেকে বাঁচিয়ে তুলেছিল। কিন্তু এবছর সেটাও সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ আইএমএফের সঙ্গে গত প্রায় আড়াই মাস ধরে বিবাদ চলেছে পাক সরকারের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement