Advertisement
Advertisement

আসন কম, বাসের মতোই দাঁড়িয়ে পাক বিমানে সফর যাত্রীদের

অকর্মণ্যতা ও দুর্নীতির জন্য পাক সরকারি বিমানসংস্থাটি সবার কাছে হাসির খোরাক৷

Pak airliner carries 7 extra passengers standing on aisle
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 26, 2017 10:20 am
  • Updated:February 26, 2017 10:20 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দাদা একটু চেপে’৷ ভিড়ে উপচে পড়া বাস ও লোকাল ট্রেনে এমন সম্বোধন সবারই জানা৷ তবে এবার হয়ত এমনটাই শুনতে পাওয়া যাবে পাকিস্তানি যাত্রীবাহী বিমানগুলিতে৷ ভাষা হয়ত বদলে যাবে কিন্তু পরিস্থিতি একই থাকবে৷

পুলিশের জালে আমেরিকান সেন্টার হামলার চক্রী

পাক সংবাদমাধ্যম সুত্রে খবর, জানুয়ারি মাসে করাচি থেকে সৌদি আরবগামী  ‘পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স’-এর একটি বোয়িং-৭৭৭ বিমান অতিরিক্ত ৭ জন যাত্রী নিয়ে উড়ান ভরে৷ সমস্ত সুরক্ষা নির্দেশ জলাঞ্জলি দিয়ে ওই অতিরিক্ত যাত্রীরা দাঁড়িয়ে থেকে সফর করেন৷ খবরটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় চাপের মুখে পরে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকারি বিমানসংস্থাটি৷

Advertisement

সহপাঠীদের হাতে গণধর্ষণের শিকার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, ধৃত ৪

জানা গিয়েছে, উক্ত বোয়িং বিমানে আসন সংখ্যা ৪০৯৷ যদিও সেদিন ৪১৬ জন যাত্রী নিয়ে করাচী থেকে মদিনার উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয় বিমানটি৷ অতিরিক্ত যাত্রীদের হাতে লিখে বোর্ডিং পাস দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ৷ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিমানটির চালক জানিয়েছেন যে, রওনা হওয়ার পর তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারেন৷ এত বড় একটি ভুল জানতে পেরেও তিনি বিমানটিকে করাচি ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন না কেন জানতে চাওয়ায় চালক বলেন যে, বিমানটি ফেরাতে গেলে অনেকটা জ্বালানি নষ্ট করতে হত৷ এতে ক্ষতি হত বিমানসংস্থাটির৷

ফুটবলটা ভালই বোঝে মৌমাছিরা

অকর্মণ্যতা ও দুর্নীতির জন্য পাক সরকারি বিমানসংস্থাটি সবার কাছে হাসির খোরাক৷ সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, একটি বিমানের জন্য প্রায় ৭৫০ জন কর্মী নিয়োগ করেছে সংস্থাটি৷ যদিও আন্তর্জাতিক মানে খুব বেশি হলে একটি বিমানের জন্য  ২০০ জন কর্মীকে নিয়োগ করা যেতে পারে৷ এছাড়াও প্রায় ৩০০ বিলিয়ন টাকার ঋণও রয়েছে ওই বিমানসংস্থাটির উপর৷

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ঢুকতে দিল না ট্রাম্প প্রশাসন

ক্রমশ ভেঙে পড়া অর্থনীতি ও অভ্যন্তরীণ অরাজকতায় জর্জরিত পাকিস্তান৷ তবুও কাশ্মীর দাবি করে যুদ্ধের হুঙ্কার দিতে পিছপা নয় ওই দেশ৷ যে দেশে প্লেন ও বাসের মধ্যে তফাত করতে পারছেনা, সেই দেশই নাকি কাশ্মীরিদের দুঃখ ঘোচাবে৷ ‘কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন’ প্রবাদটি যে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ভীষণভাবে প্রযোজ্য তা বলাই বাহুল্য৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement