থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। তিনিই এখনও পর্যন্ত সেদেশের সর্বকনিষ্ঠ ও দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী। আজ শুক্রবার থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে পেতংতার্নকে বেছে নেন আইনপ্রণেতারা।
পেতংতার্নের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক বহু পুরনো। তাঁর বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা শুধু ধনকুবেরই নন থাইল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও। বাবার পথ অনুসরণ করেই রাজনীতির ময়দানে নাম লেখান পেতংতার্ন। গত কয়েক দশক ধরে সেদেশের রাজনীতিতে বিরাজ করছে সিনাওয়াত্রারা। পেতংতার্নের কাকীমা ইংলাকও রাজনীতিতে বিখ্যাত নাম। তিনিই থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
৩৭ বছরের পেতংতার্ন ফেউ থাই পার্টির নেত্রী। গত বেশ কয়েকদিন ধরে থাইল্যান্ডের সরকারের ডামাডোল চলছিল। ঘুষের দায়ে জেলে যাওয়া এক অপরাধীকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মনোনীত করেছিলেন থাইল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সেথ্রা থাভিসিন। তার পরই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। অবশেষে দিন দুয়েক আগে থাভিসিনকে নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে মসনদ থেকে সরিয়ে দেয় থাইল্যান্ডের আদালত। তাঁর মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ারও রায় দেওয়া হয়। তার পর ফেউ থাই পার্টির তরফে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসাবে পেতংতার্নয়ের নাম অনুমোদন করা হয়। এদিন সংসদে ভোটাভুটি শুরু হতেই অনেকটা এগিয়ে যান তিনি। এর পর ৩১৯ ভোটে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচিত হন পেতংতার্ন।
থাইল্যান্ডের স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন পেতংতার্ন। তার পর যোগ দেন পারিবারিক ব্যবসায়। সিনাওয়াত্রার মালিকানাধীন রেন্ডে হোটেল শিল্প গোষ্ঠীতে কয়েক বছর কাজ করেছেন তিনি। এর পর পেতংতার্ন পা রাখেন রাজনীতির ময়দানে। ২০২১ সালে ফেউ থাই পার্টিতে যোগ দেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে পেতংতার্নকে দলের নেত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এবার থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন পেতংতার্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.