Advertisement
Advertisement

Breaking News

মৃত ওসামাপুত্র হামজা বিন লাদেন, দাবি আমেরিকার

কীভাবে, কোথায় হামজার মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে মার্কিন প্রশাসন।

Osama bin Laden's son Hamza dead, says US officials
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:August 1, 2019 9:24 am
  • Updated:August 1, 2019 9:38 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত ওসামা বিন লাদেনের পুত্র হামজা। এমনটাই দাবি মার্কিন ইন্টেলিজেন্স আধিকারিকদের। হামজার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন চ্যানেল এনবিসি নিউজ। গোয়েন্দারা হামজার মৃত্যুর খবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানিয়েছেন। তবে কীভাবে, কোথায় হামজার মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে মার্কিন প্রশাসন। তবে লাদেনপুত্রর মৃত্যুর পিছনে আমেরিকার হাত রয়েছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। এবং যদি তা হয়ে থাকে তবে তা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে বড়সড় সাফল্য।

প্রসঙ্গত, অ্যাবোটাবাদে অপারেশন নেপচুনস স্পিয়ারে ওসামার নিকেশের পর স্বাভাবিকভাবেই কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার দায়িত্ব বর্তায় তার ছেলে হামজার উপর। যদিও সংগঠনের শীর্ষনেতা বা মাথা আয়মান আল-জাওয়াহিরি। ওসামার তৃতীয় বউ খাইরিয়া সাবারের সন্তান ২৯ বছরের হামজার মাথার দাম ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার ধার্য করেছিল পেন্টাগন। ২০১৮ সালে শেষবারের মতো আল কায়দার মিডিয়া সেলের মাধ্যমে সৌদি আরব প্রশাসনকে শাসাতে শোনা যায় হামজাকে। আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে রক্তের নদী বইয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল সে। অ্যাবোটাবাদে ওসামা নিধন মিশনের শেষে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে উঠে আসে, তার বউদের আটক করা হলেও একমাত্র হামজা নিখোঁজ ছিল। হামজাকে তখন জীবিত ধরতে পারেনি ইউএস নেভি সিলস বাহিনী।

Advertisement

২০০৯ সালে মার্কিন ড্রোন হানায় ওসামার বড় ছেলে সাদের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে হামজারই আল কায়দার মাথায় বসার কথা ছিল। অ্যাবোটাবাদে গোপন ডেরায় ঘাঁটি গেড়ে ওসামাই নাকি হামজাকে পরবর্তী আল কায়দা প্রধান হওয়ার জন্য তৈরি করছিলেন। জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেতেই ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামজাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দেয়। বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুর খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসেছে বিশ্বের তাবড় দেশগুলি। যদিও তার মৃত্যু নিয়ে খোলসা করছে না পেন্টাগন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement