সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশেম সোলেমানির শেষকৃত্যে হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা গেল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেইকে। পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে তখন সান্তনা দিচ্ছিলেন ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রৌহানি ও মৃত সোলেমানির ছেলে ইসমাইল কানি। ইরানের সংবাদমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল ইরানের ‘বন্ড’ নামে পরিচিত কাশেম সোলেমানির শেষযাত্রা। তাতে দেখা যায়, মার্কিন বিমানহানায় মৃত সোলেমানি ও অন্যদের কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করেছেন খামেনেই। সেসময়ই হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় পাশে থাকা অন্যদেরও।
#Iran‘s Supreme Leader Ayat. #Khamenei cries while saying special prayers over body of Lt. General #Soleimani https://t.co/LLuUHatKjs
— Iran (@Iran) January 6, 2020
ইরানের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নটায় তেহরানে শেষযাত্রা হয় মার্কিন বিমান হানায় মৃত সোলেমানির। প্রিয় সেনানায়ককে শ্রদ্ধা জানাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে মিছিল করেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগের হাতে ছিল মার্কিন বিরোধী পোস্টার। যেখানে আমেরিকা থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প, সবাইকে আক্রমণ করে স্লোগান লেখা ছিল। এর পাশাপাশি ইরানের টিভি চ্যানেল থেকে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়, কেউ যদি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুন করে তাহলে তাঁকে আট কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কার দেবে ইরান।
শুধু তাই নয়, কাশেম সোলেমানির শেষকৃত্য অংশ নেওয়ার আগে তারা আর পরমাণ চুক্তি মানবে বলেও জানিয়ে দেয় ইরান(Iran)। সরকারি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে তিনি ঘোষণা করেন, এতদিন চুক্তি মেনে পরমাণু প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণায় নানান নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতাম আমরা। পরমাণু জ্বালানি সংগ্রহ করতে পারতাম না। কী পরিমাণ ইউরেনিয়াম আমাদের দেশে রাখা যাবে, তার ওপরেও লাগাম পড়ানো ছিল। কিন্ত, এখন থেকে ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান আর কোনও কড়াকড়ি মেনে চলতে বাধ্য নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.