ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্বেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওমিক্রন (Omicron)। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে (UK) শীর্ষে পৌঁছেছে সংক্রমণ। আমেরিকাতেও (US) কয়েক দিনের মধ্যেই সংক্রমণ পৌঁছবে শীর্ষে। ভারত-সহ বাকি বিশ্বেও একই ভাবে কালো ছায়া ফেলেছে করোনার (Coronavirus) নয়া স্ট্রেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে গবেষকদের দাবি, সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে এত দ্রুত যে শিগগিরি সংক্রমণের হার নিম্নগামী হবে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলি মোকদাদ জানাচ্ছে, ‘‘যত তাড়াতাড়ি সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, ততই তাড়াতাড়ি নিম্নমুখীও হবে।’’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম সন্ধান মেলার পর গত দেড় মাসেই গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে ওমিক্রন। সেই কারণেই পরিস্থিতি এমনই দাঁড়াচ্ছে, যে কিছুদিনের মধ্যেই নতুন করে কাউকে সংক্রমণ করার জন্য পাবেই না নয়া এই স্ট্রেন।
ওমিক্রনের দাপট কমে গেলেও এরপর কী হতে পারে, সেই ব্যাপারটি সম্পর্কে এখনও অনিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। অতিমারীর পরের ধাপ কী হতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কেননা দু’টি দেশের মধ্যে তুলনা করে দেখলে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি কিংবা অবনমন একই ভাবে হচ্ছে না। এমনকী, বহু ক্ষেত্রেই সংক্রমণের হার কমতে শুরু করলেও বহু মানুষ হাসপাতালে ভরতি রয়েছে। আবার অন্যত্র একেবারেই ভিন্ন ছবি দেখা যাচ্ছে। তবে সামগ্রিক ভাবে যে সংক্রমণ নিম্নমুখী হতে শুরু করবে এবং দ্রুতই তা আরও কমে যাবে, সে ব্যাপারে আশার আলোই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনার নতুন নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়তে প্রয়োজন নতুন ভ্যাকসিন। WHO বলছে, আমাদের এমন ভ্যাকসিন প্রয়োজন যার এই রোগের সংক্রমণ রোধ এবং ছড়িয়ে পড়া রোখার ক্ষেত্রে আরও কার্যকারী ভূমিকা থাকবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে এই ধরনের ভ্যাকসিন তৈরিতে উৎসাহ দেওয়ার কথা বলছে। WHO’র টিকার উপাদান সংক্রান্ত উপদেষ্টা মণ্ডলীর (TAG-CO-VAC) বক্তব্য, পুরনো টিকাগুলির বুস্টার ডোজ বারবার দিলেও করোনার সংক্রমণ রুখে দেওয়া যাবে না। করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে লড়তে পারবে না এই ভ্যাকসিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.