সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এই তো জীবন! এক বোতল ঠান্ডা বিয়ার পাওয়া যাবে?’ সুস্থ হয়েই চিকিৎসক-নার্সদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়লেন বৃদ্ধা। বয়স ১০০ পেরিয়েছে। তাতে কী? শরীরে বার্ধক্য এলেও মনে-প্রাণে তো তিনি এখনও তরতাজা। একেবারে কুড়ির যুবতী। দিন কয়েক আগেই ১০৩ বছরের বৃদ্ধা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে মারণ ভাইরাসকে জব্দ করে তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ। তাই করোনামুক্ত হওয়ার আনন্দ উদযাপনে হাসপাতালের বেডেই বিয়ারের বোতলে চুমুক দিলেন বৃদ্ধা। আর সে খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ১০৩ বছরের সাহসিনী।
এযাবৎকাল গোটা বিশ্বজুড়েই বহু বয়স্ক মানুষের করোনামুক্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সেই তালিকায় একশো বা তাঁর বেশি বয়সেরও অনেকেই রয়েছেন। তবে ম্যাসাচুসেটসের জেনি স্টেনা নামে এক বৃদ্ধা যা করলেন, তা বোধহয় এর আগে কেউ কখনও করেননি। করোনাকে হারিয়ে নার্সিংহোমের বেডে শুয়েই সশব্দে খুললেন বিয়ারের বোতলের ছিপি। চুমুক দিলেন ঠান্ডা পাণীয়তে। একশো পেরনো জেনি যেন জীবনকে সেলিব্রেট করলেন। তিনি যে এখনও পুরোদমে জীবনকে উপভোগ করতে চান, বুঝলেন সেখানে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর্মীরা।
চিকিৎসকরা যখন জেনিকে তাঁর করোনা পজিটিভের কথা জানান, তিনি প্রথমটায় বুঝতেই পারেননি যে কোভিড-১৯ কী? তবে জেনির বয়স দেখে ঝুঁকি নিয়ে চাননি কেউই। তড়িঘড়ি তাঁর চিকিৎসা শুরু করা হয় হাসপাতালে। এরপর একসময়ে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে ডাক্তাররা জেনির পরিবারের লোকেদের ডেকে পাঠান। শেষবারের জন্য জেনিকে দেখে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁদের। আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। তবে হাল ছাড়েননি জেনি। সবাইকে অবাক করে দিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর তাই জেনির রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ আসার আনন্দ উদযাপন করতে লেগে পড়েন নার্সিংহোমের কর্মীরাও। তিনি কী খেতে চান জানতে চাওয়া হলে, উত্তরে পরিষ্কার বলেন, “এক বোতল ঠান্ডা বিয়ার পাওয়া যাবে?” প্রস্তাবে অমত করেননি কেউই। ঠান্ডা বিয়ার এনে দেওয়া হয় তাঁকে। নিজেই সশব্দে সেই বোতল খুলে চুমুক দেন। সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দিও হয়। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে আর সময় নেয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.