সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমবার ইসলামিক অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কর্পোরেশন অর্থাৎ, OIC- তে সাম্মানিক আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। ভারতের এয়ারস্ট্রাইকের পর ইসলামিক দেশগুলির এই সংগঠনে সুষমার উপস্থিতির তীব্র বিরোধিতা করে পাকিস্তান। এমনকী, সুষমা স্বরাজ বৈঠকে উপস্থিত থাকলে তা বয়কট করার কথা ঘোষণা করেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তেমনটাই করেন তিনি। পাকিস্তানের অনুপস্থিতিতে ওআইসি’র বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সুষমা স্বরাজ। সুষমা বলেন, “আমাদের লড়াই কোনও দেশ বা কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, আমাদের লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।”
পাকিস্তানের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও সুষমাকে পাঠানো আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করেনি OIC। পাক বিদেশমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সুষমাকে আমন্ত্রণ, এবং বিশ্বের তাবড় ইসলামিক দেশগুলির সমাবেশে ১৭ মিনিটের সন্ত্রাস বিরোধী বক্তব্য রাখার সুযোগ, এই ঘটনাকে ভারতের বড়সড় কূটনৈতিক জয় হিসেবে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু, বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই পুরো পরিস্থিতি বদলে গেল। পাকিস্তানকে তিরস্কার করা তো দূরে থাক, উলটে ভারতকেই কাঠগড়ায় তুলল মুসলিম দেশগুলির সংগঠনটি। সুষমার বক্তব্যের পরদিন অর্থাৎ, শনিবার ওআইসি একটি প্রস্তাব পাশ করিয়েছে। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কাশ্মীরে অমানবিক এবং বর্বরোচিতভাবে নিরীহ মানুষের উপর সেনার ব্যবহার করা হচ্ছে। এর জন্য ভারতের তীব্র নিন্দা করছে ইসলামিক কর্পোরেশন। একই সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানেরও ভূয়সী প্রশংসা করে ইসলামিক কর্পোরেশন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য অভিনন্দন বর্তমানকে দেশে ফেরানোর যে সিদ্ধান্ত ইমরান নিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ইসলামিক কর্পোরেশনের কাশ্মীর নিয়ে এই মন্তব্য মোটেই ভালভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি। ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জম্মু কাশ্মীর সম্পূর্ণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
এদিকে, ইসলামিক কর্পোরেশনের এই অবস্থান বদলকে নিজেদের জয় হিসেবে বর্ণনা করছে পাকিস্তান। পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, বয়কট করা সত্ত্বেও ইসলামিক কর্পোরেশন পাকিস্তানকেই সমর্থন করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.