সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরণার্থীদের আমেরিকায় ঢোকা আটকাতে বদ্ধপরিকর মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার জারি করলেন নজিরবিহীন এক নির্দেশিকা।শরণার্থীদের উপর গুলি চালাতে সেনাবাহিনীকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হল তাঁকে। আক্রমণ শানালেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। চাপের মুখে অবশেষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান বদল করতে বাধ্য হলেন তিনি।
[অ্যাসিডে পুড়িয়ে লোপাট খাশোগ্গির দেহ, বিস্ফোরক দাবি এরদোগানের]
ট্রাম্পের ব্যাখ্যা তাঁর নির্দেশিকার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। মেক্সিকো সীমান্তে বাড়তি সেনা পাঠানো হয়েছে শরণার্থীদের আটকানোর জন্য। তাঁদের দিকে পাথর ছুঁড়লে শরণার্থীদের গ্রেপ্তার করা হবে, কিন্তু গুলি চালানোর কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই নির্দেশিকা বাড়তি অস্ত্র তুলে দিয়েছে তাঁর প্রতিপক্ষের হাতে। ট্রাম্পকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি তাঁর পূর্বসূরি বারাক ওবামা। তাঁর দাবি, ভোটের আগে এই পদক্ষেপ পুরোপুরি রাজনৈতিক চমক। এর সঙ্গে দেশপ্রেমের কোনও সম্পর্কই নেই। সূত্রের খবর, মেক্সিকোর ভিতর দিয়ে মধ্য আমেরিকার তিনটি দেশ এল সালভাদর, হন্ডুরাস ও গুয়াতেমালার প্রায় সাত হাজার শরণার্থী মার্কিন সীমান্তের কাছে জমা হয়েছেন। তাঁদের আমেরিকায় ঢোকা আটকাতে বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছেন ট্রাম্প। কয়েক হাজার দরিদ্র শরণার্থী আমেরিকায় ঢোকার জন্য কারাভ্যানে করে মেক্সিকো সীমান্তে জড়ো হয়েছেন। মেক্সিকোর সঙ্গে দক্ষিণ সীমান্তে বাড়তি ১৫ হাজার সেনা পাঠিয়েছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে নির্দেশ দিয়েছেন, সেনার দিকে শরণার্থীরা পাথর ছুঁড়লে পালটা গুলি চালানো হবে। তাঁর এই নির্দেশিকার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা, মানবাধিকার সংগঠনগুলি-সহ তাঁর দলের একাংশ৷ নিজের দলের মধ্যেও এইজন্য প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে৷ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন সেনা কর্তারাও।
[দেউলিয়া পাকিস্তানের পাশে চিন, ইমরানকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস জিনপিংয়ের]
শরণার্থীদের উপর গুলি চালানো কি জরুরি? হোয়াইট হাউসে প্রশ্নের মুখে অবস্থান বদলে ফেলেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “না, সেনা গুলি চালাবে না। আমি চাই না গুলি চলুক। ওরা পাথর ছুঁড়ুক, সেটাও চাই না। ওরা মেক্সিকোর সেনার দিকে পাথর ছুঁড়েছিল। অনেকেই আহত হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের সেনার সঙ্গে তা করতে গেলে গ্রেপ্তার করা হবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট যা-ই ব্যাখ্যা দিন না কেন, তা ধর্তব্যের মধ্যেই রাখছেন না পূর্বসূরি বারাক ওবামা। তাঁর ধারণা, মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে চাপে থাকা ট্রাম্প এভাবেই রাজনৈতিক চমক দিয়ে বাজিমাত করতে চাইছেন। ওবামার কটাক্ষ, “২০১৮-য় এসে ওঁর মনে হল, আমেরিকার সবচেয়ে বড় বিপদ হতদরিদ্র শরণার্থীরা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.