সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বড় আণবিক অস্ত্রভাণ্ডার রয়েছে আমেরিকার হাতে। সামরিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, রাশিয়া, চিন, ইরান, উত্তর কোরিয়া-সহ বহু দেশের দিকেই পরমাণু বোমা নিয়ে মুখ উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মার্কিন ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল’ বা আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া, জরুরি অবস্থায় একাধিক ফ্রন্টে যুদ্ধের নীল নকশাও তৈরি। আর এহেন অতি গোপন নথিই নাকি হোয়াইট হাউস থেকে নিয়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি সরকারিভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ শেষ হয় ট্রাম্পের। অভিযোগ, হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় একগুচ্ছ গোপন নথি সঙ্গে নিয়ে যান তিনি। বিচারবিভাগের ৪৯ পাতার চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, ফ্লোরিডায় নিজের রিসর্টে সরকারি নথি লুকিয়ে রাখেন ট্রাম্প।সবমিলিয়ে, ১৩ হাজার নথি উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর প্রাসাদ থেকে। অফিস, বাথরুম-সহ একাধিক জায়গায় লুকানো ছিল সেগুলি।
আমেরিকার ‘প্রেসিডেন্সিয়াল রেকর্ডস অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ শেষের পরে কেউ কোনও সরকারি নথি ব্যক্তিগত হেফাজতে রাখতে পারেন না। বলে রাখা ভাল, ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁর আমলের নথি নষ্ট করার চেষ্টা করেন রিচার্ড নিক্সন। তাই এমন ঘটনা রুখতে ১৯৭৮ সালে এই আইন আনে মার্কিন কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, পিচবোর্ডের একটি বাক্সে আণবিক অস্ত্রভণ্ডার সংক্রান্ত নথি নিয়ে যান বছর চুয়াত্তরের ট্রাম্প (Donald Trump)। ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো-য় নিজের রিসর্টে সেসমস্ত রাখেন তিনি। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পের ওই বাক্সে নাকি সিআইএ, পেন্টাগন ও এনএসএ-র বহু নথিও ছিল। ফলে রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ, জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করেছেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনে লড়াই করছেন ট্রাম্প। কিন্তু বরাবরই তাঁর সঙ্গী বিতর্ক। ক্যাপিটল হিলস হামলা থেকে পর্ন তারকাকে ঘুষ, আয়কর জালিয়াতি, বিচারব্যবস্থার উপর অবৈধ ভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা থেকে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের দেওয়া উপহার সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়া- আমেরিকার ফেডারেল আদালতে মোট ৩৪টি মামলায় অভিযুক্ত ট্রাম্প।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.