সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে জি-২০ সম্মেলনে (G-20 Summit) অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রপ্রধানরা। যৌথ ঘোষণায় সকলেই সাফ জানান, ইউক্রেনে (Ukraine) শান্তি চান তাঁরা। যদিও রাশিয়ার (Russia) নাম না করে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বিরোধী বিবৃতি পছন্দ হয়নি ইউক্রেনের। কিয়েভের কটাক্ষ, “গর্ব করার মতো কিছুই হয়নি” দিল্লিতে (Delhi)।
জি-২০ বৈঠকে রাষ্ট্রনেতাদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে সার্বভৌমত্ব, একতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর সকলে। শান্তি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। অশান্তির আবহে সবসময়েই জটিলতা এড়ানো উচিত বলে ঐক্যমত্য সকলে। এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ – এই পন্থায় প্রতিবেশীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। ইউক্রেনে নিরবচ্ছিন্ন শান্তির পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে এই যৌথ বিবৃতিতে। পাশাপাশি ভূখণ্ড দখলের ‘ষড়যন্ত্রে’ পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োগ পরিকল্পনায় নাম না করে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে রাশিয়াকে।
যদিও এই ধরি মাছ না ছুঁই পানী বিবৃতি পছন্দ হয়নি ইউক্রেনের। জেলেনস্কির দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেঙ্কোর বক্তব্য, “জি-২০ সামিটে গর্ব করার মতো কিছুই হয়নি।” ওলেগ বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যদি ইউক্রেনের প্রতিনিধি থাকতেন, তবে তিনি বাকিদের বর্তমান পরিস্থিতি বোঝাতে পারতেন।” যৌথ ঘোষণায় হতাশা সত্ত্বেও নিকোলেঙ্কো মিত্র দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে জি-২০ সম্মেলনে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বিষয়টি প্রধান না হয়ে ওঠায় বেজায় খুশি প্রতিপক্ষ রাশিয়া। এই বিষয়ে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সের্গেই লেভরভ বলেন, “ভারত জি-২০ সম্মেলনকে ইউক্রেন সর্বস্ব করার অনুমতি দেয়নি।” এই কারণেই ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে’ এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘সফল’ হয়েছে। লেভরভ আরও বলেন, “জি-২০ সম্মেলনের বিভিন্ন দেশের যৌথ বিবৃতি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন প্রসঙ্গটিকে আমরা আলাদাভাবে দেখছি না।” সব মিলিয়া ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ অন্ধকারেই। আপাতত যুদ্ধে থামার মতো পরিস্থিতি তৈরি হল না। অথচ গোটা বিশ্বই এর ফল ভোগ করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.